প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ বিজেপির সভাপতির! আর্থিক লেনদেনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ বিজেপির সভাপতির! আর্থিক লেনদেনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
বিজেপির অন্দরেও ঢুকে গিয়েছে প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের ভোট কৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ খোদ বিজেপির সংগঠনিক জেলা সভাপতির। তাঁদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও রয়েছে। বিজেপিকে শেষ করতেই এই পরিকল্পনা বলে অভিযোগ দলের যুব মোর্চার। আর এই অভিযোগকে ঘিরেই তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল বসিরহাটে।
বিজেপির মূল সংগঠনের সঙ্গে যুব মোর্চার দ্বন্দ্ব
বিজেপির সাংগঠনিক জেলার কর্মিসভা ছিল বসিরহাটে। বসিরহাটের সোনপুকুরে একটি কমিউনিটি হলে কর্মিসভার আয়োজন হয়। সেখানেই বিজেপির মূল সংগঠনের সঙ্গে যুব মোর্চার দ্বন্দ্ব বাধে। সেখানেই হেনস্থার শিকার হতে হয় বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষকে। তাঁকে মারধরও করা হয়। দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা।
সভাপতি তারক ঘোষ আসার আগেই মূলদ্বার বন্ধ
অভিযোগ, বিজেপির সাংগঠনিক জেলা কর্মিসভায় সভাপতি তারক ঘোষ উপস্থিত হওয়ার আগেই মূল গেটে তালা মেরে দেয় বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারের সঙ্গে আসা কর্মী-সমর্থকরা। তা নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। কর্মিসভা শুরুর আগেই দু'পক্ষের মধ্যে বচসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল কেউটে!
তখনই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে কেউটে। বসিরহাটের সংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তারক ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারের দাবি, জেলার সাংগঠনিক সভাপতি তারক ঘোষ প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে মোটা টাকা খেয়েছেন। তিনি টাকা খেয়ে বিজেপি দলটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগ, বিজেপির সর্বনাশ হচ্ছে
সাধারণ সম্পাকক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারের নেতৃত্বে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা-কর্মীরা তারক ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। তাঁদের দাবি, বসিরহাটে কর্মী-সমর্থকদের মনোবল নষ্ট করে দিচ্ছেন স্বয়ং জেলা সভাপতি। তিনি তৃণমূলের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। টাকার লোভে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে চুক্তি করে দলের সর্বনাশ করছেন।
খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেই টাকা খাওয়ার অভিযোগ
বিজেপি নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ জানিয়েছে, এই কর্মিসভায় এসেছিলাম সভাপতির কাছে সাংগঠনিক কাজকর্মের ব্যাপারে জানতে। কোন পথে দল এগোবে তা বুথস্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই ছিল এই কর্মিসভা। কিন্তু এখানে এসে দেখা গেল খোদ সভাপতির বিরুদ্ধেই অভিযোগ। অভিযোগ, তিনি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না।
২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপিতে তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যেই অবশ্য অভিযুক্ত জেলা সভাপতি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করলেন। তিনি বললেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি দলবিরোধী কোনও কাজ করেননি। কোনওদিন করবেনও না। আসন্ন নির্বাচনে দলকে জয়ের সরণিতে আনার জন্যই তাঁরা লড়ছেন।
প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিলে তৃণমূল নেতা! ছবি ভাইরাল হতেই 'অন্য সুর'