বিজেপিকে বাঁচাতে পাঁচ দফা ‘প্রস্তাব’! বিদ্রোহীদের নিশানায় সেই সুকান্ত-অমিতাভরাই
বিজেপিকে বাঁচাতে পাঁচ দফা ‘প্রস্তাব’! বিদ্রোহীদের নিশানায় সেই সুকান্ত-অমিতাভরাই
বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলকে বাঁচানোর রাস্তা বের করার প্রয়াস শুরু করলেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁরা বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ থেকে চিন্তন বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি সেই বৈঠকে তথাগত রায়, মোহিত রায় ও দুধকুমার মণ্ডলদের শামিল করতেও চেয়েছেন বিদ্রোহীরা। আর বিজেপিকে বাঁচাতে দেওয়া হয়েছে পাঁচ প্রস্তাব।
প্রস্তাব-১
বিজেপিকে বাঁচাতে বিদ্রোহীদের তরফে পয়লা নম্বর প্রস্তাবে বলা হয়েছে- দলের পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পুরনোদের পরামর্শ কানে করা হচ্ছে না। পুরনোরা দলে ব্রাত্যের তালিকায় রয়েছে। পুরনোদের গুরুত্ব না দেওয়ার খেসারত হিসেবে একুশের নির্বাচনে হারতে হয়েছে গোহারা। তারপরও বিজেপির কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই।
প্রস্তাব-২
বিজেপিতে একটা বড় অংশের ক্ষোভ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল-যোগেরও। তাঁকে অবিলম্বে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন বিদ্রোহী নেতারা।
প্রস্তাব-৩
বিদ্রোহী নেতাদের ক্ষোভ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও। দিলীপ ঘোষের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের সুকান্ত মজুমদারকে। তাঁকে বেশিরভাগ সময়ে কলকাতায় থাকতে হবে বলে দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধরা। আবার অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি সামনে থাকলেও দল চালাচ্ছেন অন্যরা।
প্রস্তাব-৪
বিদ্রোহী নেতাদের অভিযোগ, বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব যতটা না করছে, তার থেকে বেশি দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে অন্য জেলা থেকে লোক এনে ভিড় দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ করে দলের সংগঠন বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। সবাইকে নিয়ে তা করতে হবে।
প্রস্তাব-৫
বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের আরও দাবি, সম্প্রতি অর্জুন সিং দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বারাকপুরে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে বাইরে থেকে লোক এনে ভিড় দেখানো হয়েছে। এই প্রবণতা দলের পক্ষে ভালো লক্ষণ নয়। চটজলদি এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
বিদ্রোহীরা সঙ্ঘবদ্ধ
বিক্ষুব্ধদের এই আওয়াজে স্পষ্ট বিজেপিতে ফরে অসন্তোষ বাড়ছে নতুন করে। বিদ্রোহীরা সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার ও অমিতাভ চক্রবর্তীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। তাই পাকাপাকিভাবে বিক্ষুব্ধ মঞ্চ তৈরি করার যে আওয়াজ উঠেছে, তা দলের পক্ষে ভালো নয়। তাঁরা এখন চিন্তন বৈঠক করে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আওয়াজ কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চাইছে।
মানিক ভট্টাচার্য সহ গোটা পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চাইল হাইকোর্ট