কতটা কষ্ট পেলে দুর্গন্ধ যুক্ত নালায় নামতে হয়, আদিগঙ্গা কাণ্ডে শিক্ষকদের পাশে দিলীপ ঘোষ
আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় আলিপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পিছনে আদি গঙ্গায় নেমে পড়েন শিক্ষামিত্র ও অনুমোদনহীন মাদ্রাসা শিক্ষকদের পাঁচজন প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন।

'কতটা কষ্ট পেলে একজন মানুষ অত দুর্গন্ধ যুক্ত নালাতে নামতে পারেন'
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ প্রশ্ন করা হলে বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমর্থন জানান আন্দোলনকারীদের। এদিন তিনি বলেন, 'ভাবুন কতটা কষ্ট পেলে একজন মানুষ অত দুর্গন্ধ যুক্ত নালাতে নামতে পারেন। বর্তমান সরকার এই শিক্ষকদের এই খালে নামতে বাধ্য করেছে। আমি ওদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি।' এদিকে এই ঘটনার পরই পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আদিগঙ্গা এলাকাতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

প্রায় ২০-২৫ মিনিট জলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা
মঙ্গলবার একবুক জলে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। আজকের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি যে আগে থাকতে প্ল্যান করেই করা হয়েছে তা তাঁদের প্রস্তুতি দেখেই বোঝা যায়৷ এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে৷ বিক্ষোভকারীরা প্লাস্টিকে মোড়া প্ল্যাকার্ড সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন৷ জলে যাতে প্ল্যাকার্ডগুলি ভিজে না যায় সেজন্য। দড়ির সাহায্যে আদি গঙ্গা থেকে উঠে আসেন তাঁরা। প্রায় ২০-২৫ মিনিট জলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাতে হবে
ঘটনাস্থানে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের জল থেকে উঠে আসার জন্য আবেদন নিবেদন করে৷ কিন্তু পুলিশের কথায় তাঁরা প্রথমে জল থেকে উঠে আসতে চাননি৷ পুলিশের কাছে তাঁদের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাতে হবে। পুলিশের একজন আধিকারিক জলে নেমে পড়েন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কথায় বিক্ষোভকারীরা জল থেকে উঠে আসেন৷ দড়ির সাহায্যে আদি গঙ্গা থেকে উঠে আসেন তাঁরা। জল থেকে উঠে আসার পরেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়৷ শেষ পর্যন্ত এভাবে বিক্ষোভ দেখানোয় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।

কোন দাবিতে এই অভিনব পদ্ধতিতে বিক্ষোভ?
কোন দাবিতে এই অভিনব পদ্ধতিতে বিক্ষোভ? জানা গিয়েছে, রাজ্যের অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলিকে কেন সরকারি অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল অনুমোদনহীন মাদ্রাসার শিক্ষকদের তরফে। পাশাপাশি, মাদ্রাসাগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার দাবিও তুলেছিলেন। অন্যদিকে, শিক্ষামিত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বকেয়া বেতন দেয়নি সরকার। বাড়ায়নি ভাতা।