তাহলে কি ওদের চা খাওয়াবো? চাঁচাছোলা ভাষায় ফের পরিবর্তনের ডাক দিলীপ ঘোষের
পরিবর্তনের নামে প্রতিষোধের কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় তোলা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ প্রতিনিয়ত করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীরা। তবে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি নিজের স্থানে অনড় থেকেছেন। এরই মাঝে রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা উঠে এসেছে খবরে। এই পরিস্থিতিতে অধিনায়কের মতই নিজের দল এবং কর্মীদের আগলে রেখেতে চেয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

ওদের কি আমি চা পরিবেশন করব?
এই আবহেই এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তারা যদি আমার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে, আমার এবং আমার দলের কর্মীদের হাত-পা ভাঙার চেষ্টা করে, আমাদের মারপিট করেন - তাহলে কি ওদের আমি চা পরিবেশন করব? আমরা দাঁড়িয়ে মার তো খাবো না।'

'শীতাতপ নিয়ন্ত্রত ঘরে বসে কথা বলি না'
এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'আমরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রত ঘরে বসে কথা বলি না। আমরা মাঠে ময়দানে নেমে লড়তে জানি। আমাদের দলের ১২০ জন কর্মী নিজেদের প্রাণের বলিদান দিয়েছেন। না, বিজেপি এই কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিষোধ নিজে হাতে নেবে না। আমরা কাউকে মারব না। আমি বলেছি যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে দুষ্কৃতীদের মারবে।'

কেন রাজ্যে রোজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটছে?
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সরকারকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন রাজ্যে রোজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটছে? কেন রাজনৈতিক হত্যাকণ্ড হচ্ছে রাজ্যে? আজও পর্যন্ত কি এই সব ঘটনায় জড়িত কোনও ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে?'

এই সরকার থাকলে রাজ্যে সমাজবিরোধী কাজ চলতে থাকবে
এদিকে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের রাজ্যে ৩৫৬ ধারা নিয়ে বক্তব্যকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই বিষয়ে তিনি বলেন,'সুজাপুরে বিস্ফোরণ-সহ রাজ্যজুড়ে যে সাম্প্রদায়িক টেনশন চলছে তাতে রাজ্যের মানুষের মনে হচ্ছে এখানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। এই সরকার থাকলে সমাজবিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী গতিবিধি হবে। তাই এই সরকারকে সরিয়ে এখানে ৩৫৬ ধারা জারি করে নির্বাচন করার কথা উঠছে।'
২৬/১১ এর বর্ষপূর্তিতে বড়সড় হামলার ছক বানচাল! হাইভোল্টেজ বৈঠকের পর কী বললেন মোদী?