শুভেন্দু কি তাহলে রাজ্য বিজেপির মুখ, আলাপন ইস্যুতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের 'নির্দেশ' নিয়ে জল্পনা
শুভেন্দু কি তাহলে রাজ্য বিজেপির মুখ, আলাপন ইস্যুতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের 'নির্দেশ' নিয়ে জল্পনা
রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই (suvendu adhikari) শুধুমাত্র শনিবার মন্তব্য করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যসচিব প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (narendra modi) অপমান করেছিলেন শুক্রবার। বিজেপির আর সেরকম কোনও নেতাকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (alapan banerjee) সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ
শনিবার রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, শুক্রবার শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শুধু নন, সঙ্গে থাকা মুখ্যসচিবও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অপমান করেছেন। তবে এর জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের আধিকারিকের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি জানতে পেরেছেন, আইএএস-আইপিএসদের প্রোটোকল না মানতে বাধ্য করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
প্রকাশ্যে মন্তব্যে মানা
তবে আর রাজ্য বিজেপির সেরকম কোনও নেতাকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদ (সংগঠন) বিএল সন্তোষ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানেই নাকি জানানো হয়েছে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে বিজেপির কোনও নেতা কিংবা মুখপাত্ররা সংবাদ মাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। এই নির্দেশ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জাতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় এববং মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা বজায় রাখতে।
তৃণমূলকে হাতিয়ার করতে দেওয়া যাবে না
শুক্রবার কলাইকুন্ডায় ইয়াস নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই বৈঠকে হাজির থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যা তৃণমূলের ওপরে চাপ তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই পরিস্থিতিতে কোনও অসতর্কিত মন্তব্য এই ইস্যুকে যেন তৃণমূলের হাতে না তুলে দেওয়া সেব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। তবে রাজ্যে নেতাদের ওপরে বিষয়টিকে নিয়ে কোনও মন্তব্য না করার ঘটনাকে কেউ কেউ সেন্সর করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন।
চুপ থাকতে হবে ৩১ মে পর্যন্ত
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির রাজ্যনেতাদের আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে ৩১ মে পর্যন্ত চুপ করে থাকতে বলা হয়েছে। কেননা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ওইদিনই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নর্থব্লকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তাঁর কাজের মেয়াদ তিনমাস বাড়ানো হলেও, ৩১ মে ছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মজীবনের শেষ দিন। ফলে কর্মজীবনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে যোগ দিতে বলার নির্দেশ নিয়ে কোনও কোনও প্রাক্তন আমলা প্রশ্ন তুলেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্যে রাজি হননি রাজ্য বিজেপির কোনও নেতাই।