মুকুল-দিলীপে আস্থা নেই, বাংলায় 'চলো পাল্টাই'-এর ডাক দিতে 'দূত' পাঠাচ্ছেন মোদী
বাংলা দখল করতে এবার বিশেষ দায়িত্বে আনা হচ্ছে বিজেপি নেতা সুনীল দেওধরকে। বিজেপি সূত্রে খবর এমনটাই। সংগঠনে ফাঁকফোকর পূরণ করতে তিনি সাহায্য করবেন।
বাংলা দখল করতে এবার বিশেষ দায়িত্বে আনা হচ্ছে বিজেপি নেতা সুনীল দেওধরকে। বিজেপি সূত্রে খবর এমনটাই। সংগঠনে ফাঁকফোকর পূরণ করতে তিনি সাহায্য করবেন। ত্রিপুরার ফল থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আশা, ৩ বছর সময়ের মধ্যে রাজ্যের সংগঠনের আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারবেন তিনি।
ত্রিপুরা জয়ের পরেই বিজেপির লক্ষ্য বাংলা। কিন্তু সেটা মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ কিংবা কৈলাস বিজয়বর্গীকে দিয়ে কতটা হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। ত্রিপুরা জয়ের পর তাঁদের পছন্দ সুনীল দেওধরকেই। নিচু থেকে উঁচুস্তর, সবারই দাবি সুনীল দেওধরকে আনা হোক রাজ্যে। বিজেপির অন্দরমহলের এই দাবি পৌঁছেছে সভাপতি অমিত শাহের কানেও। তাঁরও পছন্দ হয়েছে দেওধরের ত্রিপুরা মডেল। সুনীল দেওধরকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েই বাংলায় আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সুনীল দেওধর ত্রিপুরার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৫ সাল থেকে। সেই থেকে একটানা পড়েছিলেন ত্রিপুরায়। নিজের রাজ্য মহারাষ্ট্র আর বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই ছেড়ে প্রতিমাসে অন্তত ১৫ দিন কাটিয়েছেন ত্রিপুরাতেই। সেখানকার মানুষের সঙ্গে মিশতে শিখেছিলেন বাংলাও। শুধু বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাতেই নয়, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাতেও গিয়েছিলেন বারবার। দেওধরের হাত ধরেই ত্রিপুরায় বিজেপির ভোটের হার বেড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এহেন দেওধরকেই তাই পছন্দ বাংলার বিজেপি নেতা থেকে কর্মীদের।
শুধু ত্রিপুরাই নয়, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীর কেন্দ্র বারানসীতে বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন সুনীল দেওধর। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াইয়ের যে শিক্ষা দেওধর দিয়েছেন তা পছন্দ করেন সভাপতি অমিত শাহও। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফলে তাঁর জায়গায় কড়া ধাঁচের সংগঠকের প্রয়োজন অনুভব করছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এরই মধ্যে ত্রিপুরার ফল বেরিয়ে যাওয়ায় দেওধরকেই পছন্দ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।