২০২১-এর লক্ষে পরিকল্পনা বিজেপির! রাজ্যের পাঁচ জোনের দায়িত্বে আরও আরও পাঁচ সাধারণ সম্পাদক সংগঠন
যুদ্ধে যে তাঁরা নেমে পড়েছেন, তা জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির (bjp) সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। তবে বড় যুদ্ধে তাঁদের অভিজ্ঞতা নেই। সেই কারণে অন্য রাজ্য থেকে সংগঠনের লোকেরা এই রাজ্যে সাহায্যের জন্য আসছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। দলের পাঁচটি সাংগঠনিক জোনের দায়িত্ব অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ পাঁচ নেতাকে দেওয়ার পর আরও পাঁচ নেতাকে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাঁচটি জোনের দেখভালে আরও পাঁচ নেতা
রাজ্য বিজেপির পাঁচটি জোনের সংগঠনের কাজ দেখতে আরও পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পাঁচ নেতা পাঁচটি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সংগঠন। ত্রিপুরায় সংগঠন সম্পাদককে উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নবদ্বীপ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গুজরাতের সাধারণ সম্পাদক সংগঠন ভিখুভাই দালসানিয়াকে। কলকাতা জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশের সংগঠন সম্পাদক সুনীল বনশালকে। রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার সংগঠন সম্পাদক রবীন্দ্র রাজুকে। মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, হিমাচল প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক সংগঠন পবন রানাকে। উল্লেখ্য এই পাঁচ রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

২৯৪ টি আসনের দায়িত্ব ২৯৪ জন নেতাকে
সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৯৪ টি আসনে নজরদারির জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ২৯৪ জন নেতাকে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সবাই ভিন রাজ্যের। সূত্রের আরও খবর, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য বিজেপির তরফে আলাদা দল তৈরি করা হচ্ছে। এই দলে ৪০ থেকে ৫০ জন করে সদস্যকে রাখা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও তৃণমূল স্তরে সংগঠনের দেখভালের জন্য আরএসএস প্রচারকদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

রিপোর্ট দিয়েছেন ৫ জোনের ৫ নেতা
বিজেপির তরফে পাঁচটি জোনের দায়িত্ব পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুর জোনে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের কাণ্ডারী সুনীল দেওধরকে। রাঢ় বঙ্গ জোনে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশের নেতা তথা বিজেপির এসসি মোর্চার নেতা বিনোদ সোনকরকে। উত্তরবঙ্গ জোনের আট জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশের নেতা হরিশ দ্বিবেদীকে। কলকাতার জোনের কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হরিয়ানার নেতা দুষ্মন্ত গৌতমকে। নবদ্বীপ জোনে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ তাউড়েকে। জেলায় জেলায় স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরে এঁরা সবাই প্রথম দফার রিপোর্ট বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

বহিরাগত ইস্যুতে আক্রমণ তৃণমূলের
তৃণমূল আগেই রাজ্যে আসা অন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলে চিহ্নিত করেছিল। রবিবার সাতগাছিয়ার সভা থেকেও সুর চড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অমিত শাহ বহিরাগত।

সাফাই দিয়েছেন মুকুল রায় দিলীপ ঘোষরা
যদিও অন্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের কাজ দেখতে আসা নেতাদের নিয়ে সাফাই দিয়েছেন মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, আগেও এই জোন ভাগ ছিল। আগেও নেতারা আসতেন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ স্পষ্টত বলেছেন, বিজেপি সর্বভারতীয় পার্টি। এক রাজ্যের নেতারা অন্য রাজ্যে যান। পাশাপাশি এই রাজ্য এই প্রথম এতবড় একটা নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছে। কর্মীদের অভিজ্ঞতা কম রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য নেতাদের সাহায্য করছেন।
