আমন্ত্রণ সত্ত্বেও এলেন না তৃণমূল বিধায়করা, ভারি গোঁসা হয়েছে বিজেপির বাবুলের
সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তৃণমূলের কোনও বিধায়ক আসেননি। এই ঘটনা অসৌজন্যতাই প্রকাশ করে। তৃণমূল বিধায়কদের অনুপস্থিতি দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তৃণমূল কংগ্রেস অসৌজন্যের রাজনীতিই পছন্দ করে বলে আক্রমণ হানলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তৃণমূলের কোনও বিধায়ক আসেননি। এই ঘটনা অসৌজন্যতাই প্রকাশ করে। তৃণমূল বিধায়কদের অনুপস্থিতি দেখে তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীনই মুখ খোলেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ।
[আরও পড়ুন:নস্টালজিয়া উস্কে সিমলায় কফি হাউসে মোদী, তারপর যা হল জানালেন টুইটে ]
তাঁর কথায়, 'একটি সরকারি অনুষ্ঠান হচ্ছে। কাজ হবে মানুষের জন্য। সেখানে কোনও রাজনীতির গন্ধ থাকতে পারে না। আমরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তৃণমূল বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁনারা সেই আমন্ত্রণকে গুরুত্বই দিলেন না। কেউই এলেন না অনুষ্ঠানে। এই ঘটনাই প্রমাণ করে নোংরা রাজনীতি করছে কারা।' এই ঘটনাকে অসৌজন্যের এক দৃষ্টান্ত বলে বর্ণনা করেন বাবুল।
তিনি বলেন, 'মানুষ সব দেখছে, সব বুঝছে। তাঁরাই বিচার করবেন।' উল্লেখ্য, বুধবার আসানসোলে তাঁর সংসদীয় এলাকায় দু'নম্বর জাতীয় সড়কে পাঁচটি ফুটব্রিজ তৈরির শিলান্যাস করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি আমন্ত্রণ জানান তৃণমূল বিধায়কদের। এই উন্নয়নমূলক কাজেও তৃণমূলের সাড়া পাওয়া গেল না বলে অভিযোগ করেন বাবুল সুপ্রিয়।
এই এলাকায় ফুটব্রিজ না থাকায় সাধারণ মানুষ জাতীয় সড়ক পারাপার করতে সমস্যায় পড়েন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিত্যযাত্রীরা রাস্তা পারাপার করেন। এই পরিস্থিতিতেই দু'নম্বর জাতীয় সড়কে ১৮ কোটি বরাদ্দে নতুন ফুটব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
সেই প্রকল্পেরই শিলান্যাস করে বাবুল সু্প্রিয় বলেন, 'সবসময় কেন্দ্র-রাজ্য নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। এই অসৌজন্যের রাজনীতি করে নিজেদেরই ক্ষতি করছে তৃণমূল। আমরা বিজ্ঞপ্তিতে তৃণমূল বিধায়কদের নাম রেখেছিলাম, তাঁদের চিঠি করেছিলাম। তবু তাঁরা সেই আমন্ত্রণের মর্যাদা রাখল না। আসলে তৃণমূল রাজনীতি ছাড়া কিছু বোঝে না। ওঁদের কাছে সৌজন্যের কোনও মূল্য নেই।'
[আরও পড়ুন:টার্গেট জঙ্গলমহলে কে তৃণমূলের 'পাহারাদার'! মুকুলকে ফাঁকা জমি দেবেন না মমতা]
এখানে উল্লেখ্য, দু'দিন আগে দিল্লিতে মেট্রোর উদ্বোধনে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকেই আমন্ত্রণ জানায়নি কেন্দ্রের রেলমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঘটনা করে অনুষ্ঠান হয়, অথচ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে নামই ছিল না। এদিন আবার বিপরীত চিত্র বাংলায়। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে শাসকদলের বিধায়কদের আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও তারা অনুপস্থিত।