২০২১-এর আগে রাজ্য বিজেপিতে বড় রদবদল! কাকে সরানো হল, কে পেলেন গুরুদায়িত্ব
২০২১-এর আগে রাজ্য বিজেপিতে বড় রদবদল! কাকে সরানো হল, কে পেলেন দায়িত্ব
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আরও এক বড় পরিবর্তন আনা হল রাজ্য (west bengal) বিজেপিতে (bjp)। এদিন সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের (general secretary organisation) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী সম্পাদক অভিতাভ চক্রবর্তীকে।
গত ডিসেম্বর থেকে সহকারি সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী
গত ডিসেম্বরে রাজ্য বিজেপির সহ সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল অমিতাভ চক্রবর্তীকে। এই দায়িত্বের আগে তিনি রাজ্যে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁকে একটা সময় ওড়িশায় সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েও পাঠানো হয়েছিল। অমিতাভ চক্রবর্তী মূলত দক্ষিণবঙ্গে সংগঠনই দেখাশোনা করতেন।
সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই ছিল রাজ্য বিজেপির চাবি
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার পর রসিকতা করে বলেছিলেন, দলের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে নেই, রয়েছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ পুনরায় রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর মুকুল রায় বলেছিলেন, দিলীপদা পুনরায় রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু রাজ্য বিজেপির শেষ কথা সুব্রতদা। উনি ডান দিকে চাবি ঘোরালে ডানদিকে ঘুরবে, বাঁদিকে ঘোরালে বাঁদিকে ঘুরবে।
দিলীপ-সৌমিত্র বিবাদের পর রাতারাতি সরানোর সিদ্ধান্ত
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
বিজেপির
সর্বভারতীয়
সভাপতি
জেপি
নাড্ডা
সুব্রত
চট্টোপাধ্যায়কে
বিধানসভা
নির্বাচন
পর্যন্ত
দায়িত্বে
রাখার
মনস্থির
করেছিলেন।
কিন্তু
এরই
মধ্যে
মুকুল
রায়কে
দলের
সর্বভারতীয়
সহ
সভাপতি
করা
হয়।
পাশাপাশি
দিন
কয়েক
আগে
রাজ্য
যুব
মোর্চার
জেলা
কমিটির
প্রধানদের
সরিয়ে
দেন
দিলীপ
ঘোষ।
অনেকেই
বলেন
দিলীপ
ঘোষ
ও
সৌমিত্র
খানের
বিবাদের
জেরেই
এই
ঘটনা।
যদিও
কেউই
তা
স্বীকার
করেননি।
বরং
সৌমিত্র
খাঁ,
দিলীপ
ঘোষের
বাড়িতে
গিয়ে
দিলীপ
ঘোষকে
প্রণাম
করে
বিজয়া
সারেন।
একটি
সূত্রের
খবর,
এই
বিবাদের
জেরেই
সুব্রত
চট্টোপাধ্যায়ের
পদ
থেকে
অপসারণ
অবশ্যম্ভাবী
হয়ে
ওঠে।
অন্য দল থেকে আসাদের দায়িত্ব দিতে কার্পণ্য
বিজেপির একটি সূত্রের অভিযোগ, অন্যদল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে কার্পণ্য করেছেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি এইসব নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না বলেও অভিযোগ। যেই কারণে অনেকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েও ফের তৃণমূলেই ফিরে গিয়েছেন।
২০২১-এর লক্ষ্যে প্রস্তুতি বিজেপির
২০২১-এর লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এর আগে তৃণমূল থেকে আসা মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে রাহুল সিনহাকে সরিয়ে তা দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল থেকে আসা অনুপম হাজরাকে। যাঁরা অন্যদল বিশেষ করে শাসকদল থেকে আসবেন, তাঁদের গুরুত্ব যে বিজেপিতে বেশি হবে, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল গেরুয়া শিবির থেকে। এবার সেই পথ আরও মসৃণ করতেই এদিনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
আরোগ্য সেতু অ্যাপ কে বানিয়েছে! বিতর্কের জবাব দিয়ে কেন্দ্র স্পষ্ট করল অবস্থান