বিজেপির আশা ও ভরসা মমতার ৩ প্রাক্তনী! একুশে দুই বাড়ির দখলই যখন টার্গেট
বিজেপির আশা ও ভরসা মমতার ৩ প্রাক্তনী! একুশে দুই বাড়ির দখলই যখন টার্গেট
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তনীদের ভরসাতেই একুশের যুদ্ধে নামছে বিজেপি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যেমন পাণ্ডবদের শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে ময়দানে নেমেছিল কৌরবরা। অনেকটা তেমনই মুকুল-শুভেন্দু-শোভনের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। ২০২১-এর আসন্ন দুই লড়াইয়েই তৃণমূলকে কুপোকাত করার পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির।
আসন্ন পুরভোটে বিজেপি মুখ করতে পারে শোভনকে
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বসতে পারে আরও একটি ভোটের আসর। কলকাতা পুরসভার ছোট লালবাড়ির ভোটও হতে পারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। তা চিন্তা করেই বিজেপি তড়িঘড়ি ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ছিলেন, আসন্ন পুরভোটে তাই বিজেপি তাঁকে মুখ করতে পারে।
শোভনকে বিজেপি এবার কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে
মমতার প্রিয়পাত্র হিসেবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিটিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বিজেপিতে যোগদানের পরও স্নেহের কানন বলে পরিচিত শোভন দিদির কাছে ছুটেছিলেন ভাইফোঁটা নিতে। এবার কোভিড সিচুয়েশনেও ভাইফোঁটার পুরস্কার পৌঁছে গিয়েছে শোভনের কাছে। এহেন শোভনকে বিজেপি এবার কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে।
একুশের ভোটেও ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি
শোভনকে কলকাতার পর্যবেক্ষক করায় দুটি লক্ষ্যপূরণ হবে। এক তিনি কলকাতার মেয়র ছিলেন। কলকাতাকে তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। ফলে কলকাতার ভোটে তাঁকে মুখ করলে বিজেপি সুবিধা পাবে। আবার তাঁকে কলকাতা জোনের দায়িত্ব দিয়ে একুশের ভোটেও ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। কারণ শোভন ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতি।
শুভেন্দুর ভরসায় বিজেপি নীলবাড়ির দখল নেবে!
শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদানের সাড়ে ১৬ মাস পর সক্রিয় হতে চলেছেন বিজেপিতে। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাঁর যোগদানের পর বিজেপি আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। শুভেন্দু অধিকারী প্রথম দিন থেকেই সক্রিয়। তাঁকে সামনে রেখেই বিজেপি নীলবাড়ির দখল নিতে চাইছে।
বিজেপি হয়ে উঠেছে তৃণমূলের ‘বি’ টিম
আর তাঁদের সবার পিছনে রয়েছেন মুকুল রায়। মুকুল রায় ২০১৭ সালে বিজেপিতে আসার পরই পালে হাওয়া লেগেছে। সেই হাওয়ায় ভর করেই একুশের যুদ্ধ জিততে বদ্ধপরিকর বিজেপি। মুকুলের পথ ধরে শুভেন্দু-শোভনরাও এখন বিজেপিতে। বিজেপি হয়ে উঠেছে তৃণমূলের ‘বি' টিম। এখন বাংলায় প্রকারান্তরে তৃণমূলের ‘এ' বনাম ‘বি'-এর যুদ্ধ।
তৃণমূল ৬০, বাম-কংগ্রেস ১৫ এবং বিজেপি ০! একুশে বাকি ২১৯ আসনে কী সমীকরণ