বাংলা দখলে পঞ্চবাণ হানল বিজেপি, পরীক্ষার পথে না হেঁটে ‘ফুল-মার্কস’ নেতাদের দায়িত্ব
বাংলা দখলে পঞ্চবাণ হানল বিজেপি, পরীক্ষার পথে না হেঁটে ‘ফুল-মার্কস’ নেতাদের দায়িত্ব
বিহার জিতে নজর এবার বাংলায়। বিজেপি বাংলা জয়ের সুযোগ কোনওমতেই হাতছাড়া করতে নারাজ। তাই পরীক্ষিত সব নেতাদেরই বাংলা জয়ের সেনানি করে পাঠালেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। বাংলাকে টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন শাহ, তিনি দিল্লি ফিরেই নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে পঞ্চ-বাণ প্রস্তুত করে পাঠালেন মমতার বাংলায়।
পাঁচ নেতাকে বাংলায় পাঠিয়ে অমিতের চ্যালেঞ্জ
বিজেপি বাংলা জয়ে ২০০-র বেশি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। তাই কোনওরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে না গিয়ে পরীক্ষিত নেতাদের বাংলায় পাঠিয়ে দিলেন। পাঁচ নেতাকে বাংলায় পাঠিয়ে অমিত শাহ কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতাকে বাংলার শাসন থেকে হটাতেই ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে মিলে কাজ করবেন অমিত
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এসেছেন বঙ্গ বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক হয়েছে। তিনি পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে মিলে কাজ করবেন। তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে বিজেপির আইটি সেল চালান। সেইসঙ্গে তাঁকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে বাংলার জন্য। কেননা করোনা আবহে নির্বাচনে এবার প্রচার হবে ভার্চুয়ালি।
মালব্যের সঙ্গে সন্তোষ-দেওধররাও বাংলায়
মালব্য ইতিমধ্যেই বাংলায় হাজির হয়েও গিয়েছেন। তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও সেরে ফেলেছেন মঙ্গলবার। এই বৈঠকে মালব্যের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ, ছিলেন ত্রিপুরা জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি সুনীল দেওধর। তিনি গত লোকসভা ভোটের সময়ও বাংলায় কাজ করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় টিম বাংলার দায়িত্বে, আরও কারা আসছেন
শুধু ত্রিপুরা নয়, অনর্গল বাংলায় কথা বলতে পটু দেওধর বারাণসীতে মোদীর প্রধান সৈনিক ছিলেন। ত্রিপুরার সাফল্যর সূত্র ধরে এবং বাংলা ভাষায় পটু হওয়ার কারণে তাঁর উপর নির্ভর করছে বিজেপি। তারপর আসবেন বিনোদ তাওড়ে, দুষ্মন্ত গৌতম। রাজ্যে আসবেন ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়া বিনদ সোনকার।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে না গিয়ে পরীক্ষিতরাই ভরসা
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা দখলে ৫০ জন কেন্দ্রীয় নেতা আসবেন। মোট কথা শুধু বঙ্গ নেতৃত্ব নয়, কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের উপরই বেশি ভরসা রাখছে বিজেপি। যাঁরা ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত সফল, তাঁরাই আসছেন বাংলার দায়িত্বে। কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে না গিয়ে পুরনো মুখকেই ভরসা করে বিজেপি ফায়দা তুলতে চাইছে।
বাংলার রাশ মোদী-শাহ-নাড্ডাদের হাতেই
বাংলাকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পরিকল্পনা করবেন, কোন পথে চলবে প্রচার, কোন পথে সাফল্য আসবে। তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এলাকাভিত্তিক জয়ের কৌশল তৈরি করবেন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তে্ পরিষ্কার বাংলার রাশ মোদী-শাহ-নাড্ডারা তাঁদের হাতেই রাখতে চাইছে।
'বাইক দিয়ে ঘুষ দিচ্ছে তৃণমূল, তেলের খরচ দেবে কে?' বাংলার কর্মসংস্থান নিয়ে খোঁচা দিলীপের