সরকারি মঞ্চ থেকে 'তুষ্টিকরণ' মমতার! ভিডিও প্রকাশ করে জয় শ্রীরামের বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির
সরকারি মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) তুষ্টিকরণের (appeasement) রাজনীতি করেন। এদিন এক ভিডিও প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছে রাজ্য বিজেপি (bjp) । তাই প্রধানমন্ত্রীর থাকা অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে যে আপত্তি তুলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বিজেপি।
জেলায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগ, বেতন সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা

সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি প্রতিবাদ মমতার
২৩ জানুয়ারি, শনিবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় এসেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তিনি যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই উঠেছে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। এমন কি তিনি যখন নেতাজির বাড়িতে গিয়েছেন তখনও। কিন্তু গোল বাধে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে, নেতাজিকে নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে। সেখানে যেই ভাষণ দিতে উঠেছেন, তখন দর্শকদের একাশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়েছে। কিন্তু দুই সঞ্চালক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বক্তা হিসেবে ঘোষণা করতেই ফের একবাক জয় শ্রীরাম। যা জেরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং অভিযো,গ করেন, তাঁকে সরকারি অনুষ্ঠানে ডেকে এনে অপমান করা হয়েছে। এরপরেই বিতর্ক ছড়ায় জাতীয় রাজনীতিতেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ায় কংগ্রেস থেকে সিপিএম সবাই। যদিও সিপিএম-এর তরফে অভিযোগ করা হয় সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। জেলাগুলিতে তাঁর প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পান না বিরোধী দলের বিধায়ক কিংবা অন্য জন প্রতিনিধিরা।

নেতাজিকেই অপমান করেছেন মমতা
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ নেতাজির নামাঙ্কিত অনুষ্ঠানে ভাষণ না দিয়ে নেতাজিকেই অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয় শ্রীরামে কেন তিনি ক্ষেপে গেলেন প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেছেন রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে খুশি করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৩০ শতাংশ মানুষের প্রতি সংবেদনশীল কিন্তু বাকি ৭০ শতাংশ মানুষের জন্য নন। তিনি এদিন জলপাইগুড়়িতে বলেছেন জয় শ্রীরাম হল মানুষকে স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়া।

ভিডিও প্রকাশ বিজেপির
এব্যাপারে রাজ্য বিজেপির তরফে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, আল্লার কাছে দোয়া করে বলি, ইনশাল্লা, আল্লাতালা সকলকে ভালো রাখো আল্লা। লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু, মহম্মাদুর রসুরআল্লা। সকলকে ভালো রেখো আল্লা।

দেশনায়ক বনাম পরাক্রম দিবস
তবে নেতাজিকে সম্মান জানানো নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে লড়াইটা শুরু হয়েছিল আগেই। একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকার ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালনের কথা ঘোষণা করে, সেই সময় রাজ্য সরকার দিনটিকে দেশনায়ক হিসেবে পালন করার কথা জানায়। কেন দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার কালকা মেলকে নেতাজি এক্সপ্রেস হিসেবে নাম দেওয়ার কথাও জানায়। পাশাপাশি জাতীয় গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানে মেমোরিয়াল পোস্টাল স্ট্যাম্পও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার।