শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার দায়িত্ব নিক কেন্দ্র! রাজ্যসভায় দাবি বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর
এক মাস আগে বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। সেই থেকে পক্ষ-বিপক্ষে তরজা চলছে রাজনৈতিক মহলে। বাদল অধিবেশনে জ়িরো আওয়ারে ফের সেই বিশ্বভারতী প্রসঙ্গ তোলা হল। বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত এইদিন অধিবেশনে বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ তুললেন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ও এখানকার কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়রা অনেকেই পাঁচিলের বিপক্ষে ছিলেন
বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে তরজা একদিনের নয়। সূত্রের খবর, গত বছর পৌষমেলার পর থেকেই মাঠ ঘেরার পরিকল্পনা ছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উলটো দিকে, পৌষমেলার মাঠ ঘেরা যাবে না, এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়রা অনেকেই পাঁচিলের বিপক্ষে ছিলেন।
১৭ অগাস্ট ধুন্ধুমার হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে
চলতি বছরে ১৫ অগাস্ট পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়। ১৭ অগাস্ট ধুন্ধুমার হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অসংখ্য মানুষ মিছিল করে এসে ভেঙে দেন পাঁচিল তৈরির নির্মাণ সামগ্রী। শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয় সেদিন। মিছিল দেখা যায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে৷
পাঁচিল ভাঙার ঘটনার পরেই পক্ষ-বিপক্ষ মত তৈরি হয়
পাঁচিল ভাঙার ঘটনার পরেই পক্ষ-বিপক্ষ মত তৈরি হয়। একপক্ষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। যাঁরা পাঁচিলের বিপক্ষে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন। রাজ্য বিজেপির তরফে শাসকদলের গাফিলতির দিকেই আঙুল তোলা হয়। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বলে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল।
ভিড় নিয়ন্ত্রণের কথা ভেবেছে বিশ্বভারতী
গত একমাসে পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হলেও আজ আবার সংসদে সেই প্রসঙ্গই তুলল বিজেপি। রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত গোয় ঘটনায় রাজ্য সরকারের গাফিলতি রয়েছে বলে জানালেন। স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'পৌষমেলায় প্রায় দুই তিন লক্ষ মানুষ আসেন। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের কথা ভেবেছে বিশ্বভারতী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়ে শিথিল মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।' তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে বলে সংসদে জানান তিনি।
সংসদে তিনি দু'টি প্রস্তাব পেশ করেন স্বপন দাশগুপ্ত
সংসদে তিনি দু'টি প্রস্তাব পেশ করেন। স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন এবং কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন। আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক সেখানে। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রকে পৌষমেলার দায়িত্ব নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। এই প্রস্তাব পেশ করতেই সরব হন বিরোধীরা। তাঁরা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
অপারেশন স্নো-লেওপার্ড : যেভাবে লাদাখের প্যাংগংয়ে চিনকে বোকা বানায় ভারতীয় সেনা