মুকুলের নেতৃত্বে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
প্রথম দফার লোকসভা ভোটে অশান্তি-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ও আগামী সব দফায়, রাজ্যের প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবিতে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় রাজ্য বিজেপি।
প্রথম দফার লোকসভা ভোটে অশান্তি-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ও আগামী সব দফায়, রাজ্যের প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবিতে, মুকুল রায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরে ঢুকে, তাঁর টেবিলের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। মুকুল রায়, অনুপম হাজরার নেতৃত্বে, শুক্রবার বিজেপির কয়েকশো সদস্যের প্রতিনিধি দল, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে অফিসের সামনে রাস্তায় বসেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের পদত্যাগও দাবি করেছে বিজেপি।
প্রথম দফার লোকসভা ভোটে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোট, রিগিংয়ের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। প্রচুর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায়, সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশ, তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে, সাধারণ ভোটার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। দাবি, রাজ্যের দুই লোকসভা কেন্দ্রে তাদের বহু ভোটারকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। আর যারা বেরিয়েছিলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ মুকুল রায়, অনুপম হাজরাদের।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্ত অশান্তির জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বাইক বাহিনী ও মস্তানদের দাপটে বহু বুথে, দলের কর্মী-সমর্থক তো দূর, পোলিং এজেন্টরাও ঘেঁষতে পারেননি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। রাজ্যের ওই দুই কেন্দ্রের বেশকিছু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।