খোদ মন্ত্রীই ঘেরাও দলের কর্মীদের হাতে! অফিস উদ্বোধন ঘিরে অগ্নিগর্ভ গারুলিয়া
উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়ায় একটি সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তখনই তাঁর কাছে বিজেপির সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব অনুরোধ করে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করার। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেলেই গোল বাধে।
মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন নিজের দলের কর্মীরাই। রবিবার বিজেপি নেত্রী উষা চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল বিজেপিকর্মী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহার গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। মন্ত্রীকে আটকে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ। অনুরোধ করা সত্ত্বেও দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন না করায় কর্মীদের রোষানলে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়ায় একটি সাংগঠনিক বৈঠক করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তখনই তাঁর কাছে বিজেপির সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব অনুরোধ করে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করার। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান। তখনই উষা চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
রেল মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ সিনহা জানান, তিনি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করার বিষয়টি জানতেন না। তিনি সাংগঠনিক সভায় যোগদান করতে এসেছিলেন। তাঁকে আগে থেকে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, এই কার্যালয় উদ্বোধন না করার পিছনে রয়েছে কোনও প্ররোচনা। সেই কারণেই বিজেপি নেতৃত্বের কথা না মেনে মন্ত্রী বিমুখ হয়ে ফিরে যান।
গারুলিয়ায় বিজেপির একটি পার্টি অফিস উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল এদিন। গারুলিয়া মেন রোডের ধারে এই দলীয় কার্যালটির জমি নিয়ে মামলা চলছে। আদালতের নির্দেশে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি রয়েছে। বিতর্কিত ওই জায়গায় অফিস নিয়ে শনিবারই নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
গারুলিয়া পুরপ্রধান অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপর সেখানে গেলে আরও বিতর্ক বাধতে পারে বলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। অন্তত রাজনৈতিক মহল সেটাই মনে করছে। উষাদেবীর দাবি, তিনি নিজে মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন উদ্বোধন করার জন্য। তিনি রাজিও হয়েছিলেন। তারপর মত পরিবর্তনের পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি।
মন্ত্রী অরাজি হয়ে উদ্বোধন না করে ফিরে যাওয়ায় বিজেপি-র একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়। তাঁরাই মন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেয়। উষাদেবীর নেতৃত্বে চলে বিক্ষোভ-ঘেরাও। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ওই জায়গাটি যে বিতর্কিত, তা মন্ত্রীর কানে তোল হয়েছিল। তাই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন।