বিধানসভা নির্বাচনে কেন মুখ থুবড়ে পড়ল বঙ্গ বিজেপি? কারণ 'ফাঁস' করলেন জেপি নাড্ডা
বিধানসভা নির্বাচনে কেন মুখ থুবড়ে পড়ল বঙ্গ বিজেপি? কারণ 'ফাঁস' করলেন জেপি নাড্ডা
বাংলায় ক্ষমতায় না আসার জন্যে করোনাকেই দায়ী করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দুদিনের জন্যে বাংলায় এসেছিলেন জে পি নাড্ডা। দুদিনের এই সফরে ছন্নছাড়া বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকই ছিল তাঁর অন্যতম কর্মসূচি। পাশাপাশি একাধিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা ছিল নাড্ডার। সেই মতো কলামন্দিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা। যা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক তৃণমূল।
করোনাই দায়ী!
এদিন বিজেপি'র সর্বভারতীয় সভাপতি দাবি করেন, করোনার ওয়েভ না এলে ক্ষমতায় আসতাম আমরাই। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, করোনার জন্যে প্রায় প্রচার ছাড়াই বিজেপিকে লড়াই করতে হয়েছে। না হলে যে গতি এগোচ্ছিলাম তাতে ক্ষমতায় আসায় সময়ে'র অপেক্ষা ছিল বলে মন্তব্য জেপি নাড্ডার। এমনকি তিনি বলেন, চতুর্থ দফার পরে বিজেপি প্রচার করতে পারেনি। তবে আগামিদিনে বাংলায় বিজেপিই আসবে বলে এদিন মন্তব্য নাড্ডার। পাঁচ বছর পর ফের একবার ভোট রয়েছে। সেই সময় লড়াই করে বিজেপি জিতবে বলে আশাবাসী তিনি।
সাধু সাজছেন! তোপ কুণালের
আর এহেন মন্তব্যে ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। নাড্ডার এহেন দাবিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, নাচতে না চাইলে উঠান বাঁকা। অপদার্থ নেতা নেতৃত্বকে আড়াল করতে ভুলভাল কথা বলছেন। করোনার জন্যে কেউ প্রচার করতে পারেনি। তৃণমূলও পারেনি বলেও দাবি তৃণমূল নেতার। এমনকি করোনা বাড়ছে সেই সময়ে তৃণমূল বারবার বলেছিল। হারা'র পর সাধু সাজছেন বলে কটাক্ষ কুণাল ঘোষ।
জেপি নাড্ডার এহেন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর মতে, বাংলার মানুষ কখনই বিজেপিকে পছন্দ করেনি। সাম্প্রদায়িক শক্তি আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে এবারও করেছে বলে দাবি বামনেতার। তৃণমূলের দয়াতে কিছুটা এগিয়েছিল কটাক্ষ তাঁর।
মোদী জমানায় দুর্নীতি বন্ধ
অন্যদিকে নাগরিক সমাজের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন নাড্ডা। সেখানে মোদী সরকারের একাধিক কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন মানুষের সামনে। কীভাবে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার লড়াই করছে সে বিষয়টিও তুলে ধরেন বিজেপি'র সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর মতে, একটা সময়ে দেশে ব্যাপক ভাবে দুর্নীতি হত। কিন্তু আজ মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। অন্যদিকে জাতপাতের রাজনীতিও বন্ধ হয়েছে বলে দাবি নাড্ডার। বলছেন, আগে ধর্মের নামে, জাতের নামে রাজনীতি হত। তোষণের রাজনীতি প্রধানমন্ত্রী বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন বলছেন বলে দাবি বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার।
বাংলা ভাগ প্রসঙ্গে বিজেপি 'ভাগ'! দলীয় বৈঠকে সতর্কবাণী জেপি নাড্ডার