মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটির আলগা! রাজ্যে পরবর্তী সরকার বিজেপিরই, দাবি জেপি নাড্ডার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটির আলগা! রাজ্যে পরবর্তী সরকার বিজেপিরই, দাবি জেপি নাড্ডার
৬ নভেম্বর ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda)। তার আগে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের (trinamool congress) কটাক্ষ করলেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি আলগা। পা স্লিপ করে যাচ্ছে। ফলে বিজেপি(bjp) রাজ্যে পরবর্তী সরকার তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন তিনি। কেননা মানু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুডবাই জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
বিজেপি দায়িত্বশীল দল
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি দায়িত্বশীল দল। সব ধরনের সংবেদনশীলতাকে তারা ভোটে রূপান্তরিত করবেন। মনোযোগ দিয়ে, উদ্দেশ্য নিয়ে মাটিতে পা রেখে বিজেপি কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে শক্তি বেড়েছে বিজেপির
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যে বিজেপির রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নিয়েই বিজেপি লড়াই করতে বদ্ধ পরিকর। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। যেখানে ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির পেয়েছিল ২ শতাংশ ভোট। ২০১৯-এর লোকসভায় রাজ্য থেকে ৪২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৮ টি আসন দখল করেছিল। বিধানসভার নিরিখে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ১২৯ টি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বর্তমানে ২৯৪ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ১৬।
ধর্মীয় বিভাজনে নেই বিজেপি
জেপি নাড্ডা দাবি করেছেন, রাজ্যে ধর্মীয় বিভাজনে নেই বিজেপি। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মীয় বিভেদের জন্য সমর্থন হারাননি, সঠিকভাবে সরকার না চালানো, মানুষের সঙ্গে প্রতারণার কারণে রাজ্যের মানুষ ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেছেন জেপি নাড্ডা।
বিজেপির মিছিলে নৃশংস হামলার অভিযোগ
৮ অক্টোবর রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ছিল। সেই অভিযানে কাঁদানে গ্যাস, রং মেশানো জল কামান ব্যবহার করেছিল পুলিশ। যা নিয়ে টুইটে জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে তৃণমূল কর্মী এবং পুলিশ প্রশাসন হামলা চালিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর দেশি বোমা ছোঁড়ার অভিযোগও তিনি করেছিলেন। জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, এর কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হতাশা। কারণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানেন তাঁর ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। তাঁর অভিযোগ ছিল আগেকার বাম সরকারের থেকে তৃণমূল সরকার বিরোধীদের ওপরে বর্বরতা এবং রাজনৈতিক অত্যাচারের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষ সময়
গতবছর কলকাতায় ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে এক সেমিনারে যোগ দিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সময় শেষ। দেওয়ালের লিখন পরিষ্কার। বিজেপির বাংলায় ক্ষমতায় আসা কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। জেপি নাড্ডা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভোট ব্যাঙ্ক কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জাতীয় স্বার্থের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
নেতা খুনের প্রতিবাদে বাগনানে বিজেপির বনধকে ঘিরে উত্তেজনা! ঢুকতে বাধা পেয়ে চরম হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর