কমিশনে পুরভোট বাতিলের দাবি খারিজ, এবার হাইকোর্টে গেল বিজেপি
ভোট বাতিলের দাবিতে আমল দেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবার তাই সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামসা করেছে গেরুয়া শিবির। একই অভিযোগে মামলা ঠুকেছে বামেরাও। পুরভোট নিয়ে পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর। সেই দিনই এই নিয়ে শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে।


হাইকোর্টে বিজেপি
পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এবার হাইকোর্টে গেল বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ দাস জানিয়েছেন ২৩ ডিসেম্বর তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁরা আদালতে দাবি করেছেন কলকাতা পুরসভা ভোটে প্রতিটি বুথের সিসিটিভি ফুটেজ যেন খতিয়ে দেখা হয়। যদিও তিনি দাবি করেছেন পুরভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও বিজেপির এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তাঁদের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ায় বিজেপি নেতৃত্ব হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

হাইকোর্টে বামেরাও
এদিকে বিজেপির পাশাপাশি বামেরাও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেেছ সিপিআইএম। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার অনুমতি চান ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা সরকার। সেই আবেদন গ্রহন করেছেন প্রধান বিচারপতি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল পুরভোটে সিপিএম প্রার্থী এবং এজেন্টদের উপর মারধরের অভিযোগে বাঘাযতীনে অবস্থানবিক্ষোভে বসেছিলেন তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দেয়। তার পরে আবার বড়তলার থানার সামনেও অবস্থান বিক্ষোভ করেন বামেরা।

পুরভোট বাতিলের দাবি
গতকাল পুরভোটে সন্ত্রাস চালিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবং ছাপ্পাভোট ও রিগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে এই নিয়ে নালিশ জানিয়ে আসেন। তারপরে রাতের দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয়। এই নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল সেখানে। শেষে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। পুরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের তুলে দেয়। তারপরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, পুরভোট বাতিল করে দেখাক কমিশন।

পুরভোট বাতিলের দাবি খারিজ
বিজেপির দাবি খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোনও বুথেই ভোট বন্ধ হয়নি। কাজেই পুনর্নির্বাচন হবে না। এদিকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, 'হাইকোর্ট প্রত্যেকটি বুথে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা ৬ হাজার বুথের সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক অডিট চাইব। তাহলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য আর টিকবে না।'