বাড়ি বাড়ি ‘দ্রৌপদী’! পঞ্চায়েতের আগে আদিবাসী-মন্ত্রে জঙ্গলমহল দখলের প্ল্যান বিজেপির
বাড়ি বাড়ি ‘দ্রৌপদী’! পঞ্চায়েতের আগে আদিবাসী-মন্ত্রে জঙ্গলমহল দখলের প্ল্যান বিজেপির
তৃণমূলের একটা কু-কথাই বিজেপিকে হাজারো অস্ত্র জোগালো পঞ্চায়েত ভোটের আগে। আদিবাসী এলাকায় আদিবাসী ভোট করায়ত্ত করতে বিজেপি তাই সেই অস্ত্রে শান দিয়ে চলেছে। আদিবাসীদের বাড়ি বাড়ি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিল বিজেপি। বিজেপি নেতাদের কথায়, আদিবাসীদের 'ব্যথা' উপশমেই এই পরিকল্পনা তাদের।
বুধবার বাঁকুড়ার এক্তেশ্বরের একটি বেসরকারি লজে দলের বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই সাংগঠনিক জেলার বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকে বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয় আদিবাসীদের 'ব্যথা' উপশম করার। আদিবাসীদের সেই ব্যথা উপশমে আদিবাসীদের বাড়ি বাড়ি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম্মুর ছবি পাঠানো হবে। সাংবাদিক বৈঠক করে তা বলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি যেভাবে রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল ওনাকে 'বরখাস্ত' করা। আর ওই মন্ত্রীর উছিত ছিল নিজেরই পদত্যাগ করা। মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী দু'জনের কেউই তাদের উচিত কর্ম করেননি। রাষ্ট্রপতিকে অপমান তো করেছেনই, অপমান করেছেন গোটা আদিবাসী সমাজকে। তাই আদিবাসীদের মনের ব্যথা উপশম করার ভার আমাদেরকেই নিতে হয়েছে।
আসলে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভুল করেছে, তার ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। আদিবাসীদের নিজেদের দিকে টানতে দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি পাঠিয়ে বার্তা দিতে চাইছে তারা। আদিবাসীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে প্যাঁচে ফেলতে চাইছে। এদিন তাই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আদিবাসী মহলে গিয়ে দলীয় বৈঠকে দাবি করেন, রাজ্য জমি দিচ্ছে না বলেই কেন্দ্র বাঁকুড়ায় 'ট্রাইব্যাল ইউনিভার্সিটি' করতে চাইলেও তা করা যাচ্ছে না। এমনকী একই কারণে একলব্য স্কুলও করা যায়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, আদিবাসী অধ্যুষিত বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। একই সঙ্গে আদিবাসীদের অনুন্নয়নই এবার পঞ্চায়েত ভোটে ইস্যু হবে বলে তিনি জানান। তাঁর কথায় স্পষ্ট তৃণমূলের মন্ত্রীর দ্রৌপদী মুর্মু মন্তব্যকে কাজে লাগাতে বিজেপি তৎপর।
এদিন বিজেপির বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলার যৌথ বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও উপস্থিত আছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, সাংসদ ও রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক লকেট চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সহ অন্যান্যরা। তাঁরা সবাই জঙ্গলমহলে আদিবাসী উন্নয়নের কথা বলেন।
আদিবাসীদের একজোট করে বৃহত্তর শক্তি হয়ে উঠছে টিপ্রা, ত্রিপুরার কিং-মেকার কি প্রদ্যোৎ