মুকুলের পথেই রাজ্য বিজেপি! থানায় থানায় বিক্ষোভ, দেখুন ভিডিও
হাইকোর্টের নির্দেশকে সম্মান দেওয়া হয় না রাজ্যে। এমন কী বিরোধীদের কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। এমনই অভিযোগে শুক্রবার রাজ্যের থানাগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।
হাইকোর্টের নির্দেশকে সম্মান দেওয়া হয় না রাজ্যে। এমন কী বিরোধীদের কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। এমনই অভিযোগে শুক্রবার রাজ্যের থানাগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।
বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য নেতারা। বেহালায় কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশের বিরুদ্ধে মঞ্চ খুলে দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার বিজেপির সংকল্প যাত্রাকে ঘিরে ভোর থেকেই উত্তপ্ত ছিল উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা এলাকা। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর মদের বোতল ছোঁড়ে। বিজেপি পাল্টা তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ করে। রাজ্য বিজেপির যুব সভাপতি দেবজিত সরকার-সহ ১৪ জন আহত হন।
শুক্রবার সকালের দিকে একদফা গণ্ডগোলের পর বিজেপি অফিস থেকে সংকল্প যাত্রা সূচনা করার পর কলাবাগানের কাছে সেন্ট্রাল এভিনিউতে মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। এমন কী হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বিজেপি অফিস থেকে যাত্রা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও সংকল্প যাত্রা স্থগিত করার ঘোষণা নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয় বিজেপির অন্দরে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানান, তিনি বলেন কর্মসূচি বন্ধ করা হবে না। প্রাণ গেলেও মিছিল বন্ধ করা হবে না, বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
দুপুর ৩ টে থেকে ময়দানে গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসে বিজেপি। সেখান থেকেই থানাগুলির সামনে বিক্ষোভের কথা ঘোষণা করা হয়।
দুপুরেই বিষয়টি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য প্রশাসনের ইচ্ছা মতো সংকল্প যাত্রা দুদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি যুব মোর্চার তরফে জানানো হয় সংকল্প যাত্রা শুরু হবে সোমবার।
এর থেকে বলাই যায়, সংকল্প যাত্রা স্থগিত করে দিয়েও মুকুল রায়ের কথা মতো আন্দোলনের পথে রয়েই গেল বিজেপি। সেদিক থেকে শনিবার রাজ্যের থানাগুলির সামনে বিজেপির বিক্ষোভ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।