বিজেপি খবর ছড়ায় মুহূর্তে, জেলা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে বুথস্তর পর্যন্ত সাজানো রয়েছে নেটওয়ার্ক
বিজেপি খবর ছড়ায় মুহূর্তে, জেলা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে বুথস্তর পর্যন্ত সাজানো নেটওয়ার্ক
সোজা হোক বা বাঁকা- সেই তর্কে না গিয়ে একটা কথা স্বীকার করেই নিতে হবে বিজেপির আইটি ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল প্রচার-পরিকল্পনায় অন্য দলগুলির থেকে অনেক এগিয়ে। যে কোনও ভোট জয়ের লক্ষ্যে তাঁদের মূল সেনানি হল এই আইটি সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া। বিজেপির এই মাধ্যম এতটাই শক্তিশালী যে, যে কোনও ভোটে তাঁরা কয়েক কদম এগিয়ে শুরু করে।
মিষ্টি হোক বা টক, সত্য হোক বা মিথ্যা
অমিত শাহ তো একবার খুল্লামখুল্লা জানিয়েছিলেন, আমরা জনতাকে যে কোনও বার্তা দিতে পারি। মিষ্টি হোক বা টক, সত্য হোক বা মিথ্যা- মানুষের কাছে যে কোনও খবর পৌঁছনো আমাদের জল-ভাত। তিনি এই দাবির সমর্থনে জানিয়েছেন, আমরা ৩২ লক্ষ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ বানিয়ে রেখেছি। তারপর ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল সাইট তো আছেই।
প্রতি সাংগঠনিক জেলা, মণ্ডল ও বুথে সেল
রাজ্য বিজেপির আইটি সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেলের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, তারা এই কাজ তাঁরা করে আসছেন সফলভাবে। রাজ্যস্তরে তাঁদের টিম রয়েছে, তার নীচে রয়েছে প্রতি বিধানসভাভিত্তিক দল। প্রতি সাংগঠনিক জেলা, মণ্ডল ও বুথে একজন করে প্রচার প্রমুখ ও সহ প্রচার প্রমুখ রয়েছে। তাঁদের নীচে রয়েছে কর্মীরা। কর্পোরেট সংস্থার মতোই চালানো হয় এই টিম।
শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যমের শৃঙ্খলে প্রচার
ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে বিজেপি রাজ্য, জেলা এবং বিধানসভা স্তরে আলাদা আলাদা ফেসবুক পেজ রয়েছে। আলাদা আলাদা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ রয়েছে কেন্দ্র থেকে বুথস্তর পর্যন্ত। এইভাবেই উপরতলা থেকে নিচে পর্যন্ত তা ছড়িয়ে পড়ে শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যমের শৃঙ্খলে।
প্রতিটি রাজ্যেই বিজেপির শক্তিশক্তি নেটওয়ার্ক
বিজেপি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দলীয় স্তরে এবং জনসাধারণের মধ্যে সংযোগ নিবিড় করতে এই ধরনের উদ্যোগে অভ্যস্ত। বিজেপির আইটি সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল এই ধরনের কাজ করে চলেছে গোটা রাজ্যে। শুধু এ রাজ্যে নয়, প্রতিটি রাজ্যেই বিজেপির এমন শক্তিশক্তি নেটওয়ার্ক রয়েছে।
বিজেপি 'বাঁকা পথে’ বাংলা দখলের খেলায় নেমেছে, ভোট জয়ের পরিকল্পনায় আইটি সেল