তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হল আরও এক পুরসভা, কাউন্সিলরের দলত্যাগে রামজীবনপুর বিজেপির
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলবদল করিয়ে পঞ্চায়েত বা পুরসভা দখলের খেলায় মেতেছিল বিজেপি। তৃণমূল সদস্য বা কাউন্সিলরদের যোগদান করিয়ে অনেক পঞ্চায়েত বা পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠও হয়ে যায় তারা।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলবদল করিয়ে পঞ্চায়েত বা পুরসভা দখলের খেলায় মেতেছিল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য বা কাউন্সিলরদের যোগদান করিয়ে অনেক পঞ্চায়েত বা পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠও হয়ে যায় তারা। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়ে ফের ঘরওয়াপসি করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তবে রামজীবনপুর অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে, হাতছাড়া পুরসভা
পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করায় এই পুরসভা শাসক শিবিরের হাতছাড়া হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রশাসন আস্থা আস্থা ভোট না করানোর বিজেপি কাউন্সিলররা পুরসভা দখল করল একপ্রকাশ জোর করে।
অনাস্থার পর পুরসভা দখল বিজেপির
বিজেপির ছয় কাউন্সিলর পুরসভায় উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানের চেয়ার দখল করে। বিজেপির কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান করা হয়। তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর এদিন উপস্থিত ছিলেন না। ফলে বোর্ডের দখল চলে যায় বিজেপির হাতে। যদিও মহকুমা শাসক এই চেয়ারম্যান নির্বাচনকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।
পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস
শিবরাম দাস নামে এক তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগদান করে। এর ফলে পুরসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়। ১১ ওয়ার্ডবিশিষ্টএই পুরসভায় তৃণমূলের দখলে ছিল ৬টি ওয়ার্ড। ৫টি বিজেপির। আর শিবরামের দলবদলে বিজেপি শক্তি হয়ে যায় ৬, তৃণমূলের পাঁচ। উল্লেখ্য, শিবরাম দাস রামজীবনপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।
ফের পাহাড়ে হামলার মুখে বিজেপি সাংসদ, উঠল পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ