দিলীপ ঘোষকে বাংলার ভবিষ্যৎ মুখ্যমন্ত্রী ভাবছে বিজেপি! বিলাসবহুল বাড়ি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
দিলীপ ঘোষকে বাংলার ভবিষ্যৎ মুখ্যমন্ত্রী ভাবছে বিজেপি! বিলাসবহুল বাড়ি নিয়ে জল্পনা
একুশের নির্বাচন এখনও বাকী রয়েছে ১০ মাস। এখন থেকেই বাংলাকে টার্গেট করে বিজেপি নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে। তার অঙ্গ হিসেবেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাড়ি পরিবর্তন করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিলীপ এখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এমনকী বিজেপিও তাঁকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী মনে করছে!
২০২১-এর আগেই গুঞ্জন উঠেছে
বিজেপি মনে করছে ২০২১-এ পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বাংলা থেকে মমতার শাসনের অবসান ঘটছে। এবং বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। আর বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বসবেন কুর্সিতে, এমনটাই ধারণা বিজেপির। রাজারহাটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে দিলীপের চলে যাওয়া নিয়ে তাই ২০২১-এর আগেই গুঞ্জন উঠেছে।
দিলীপ ঘোষকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী!
বাংলাকে পাথির চোখ করেই সেজে উঠছে রাজারহাটের ওই অ্যাপার্টমেন্ট। দিলীপ ঘোষকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতাদের একটি অংশও। দিলীপ ঘোষের অ্যাপার্টমেন্টটি অভ্যন্তর ডিজাইন করা হচ্ছে। সাজসজ্জার বহর দেখে মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষ প্রস্তুত থাকছে বিজেপির। স্রেফ জয়ের অপেক্ষা।
নির্বাচনে জিততে থাকবেন শাহও!
নির্বাচনে জিততেও এই ঘরটিকে ব্যবহার করা হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও বিজেপির দুই নম্বর ব্যক্তি অমিত শাহও এই অ্যাপার্টমেন্টের কয়েকটি কক্ষে থাকতে পারেন। বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে অমিত শাহ মাসে সাত থেকে দশ দিন থাকবেন বাংলায়।
দিলীপের আবাসন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে
শৈশবকালে তাঁর কেটেছে কুঁড়িঘরে। তারপর সল্টলেক অঞ্চলে ভাড়া থাকা শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর তিনি সল্টলেকের ঘরে এসেছিলেন। এখন ২০২১ বিধানসভার ভোট পরিচালনার জন্য তিনি উঠে গেলেন সল্টলেক থেকে রাজরহাটে একটি চার হাজার বর্গফুট আয়তনের বড় অ্যাপার্টমেন্টে। তা নিয়েই চর্চা।
দিলীপের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে কী থাকছে
তাঁর এই নতুন ঠিকানাটি বিমানবন্দরের ১০ মিনিটের মধ্যে রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকায়। এই অ্যাপার্টমেন্টের চারটি থ্রি-বিএইচকে ফ্ল্যাট নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ মোট ১২টি কক্ষ এবং একাধিক রান্নাঘর-সহযোগে এই বাড়ি। আর থাকছে পার্টির সভার জন্য একটি বড় সম্মেলন কক্ষ। একা দিলীপ এতবড় বাড়িতে কী করবেন, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।
রাজ্য অফিসে যখন করোনার থাবা
বিজেপির সদর দফতরে স্থান সঙ্কুলানের সমস্যা হওয়ায় দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়রা তাদের বাড়ি থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। মুকুল রায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি রাজ্য অফিসে যাবেন না। সল্টলেকে আলাদা অফিসে থেকে তিনি কাজ করবেন। উল্লেখ্য, প্রধান কার্যালয়েই দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দলীয় কর্মীর কাছ থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন। দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ করে স্যানিটাইজ করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি! প্রশ্ন কিন্ত থেকেই যায়
এই পরিস্থিতি এখন যেমন দাঁড়িয়েছে যে সবাইকে পৃথক পৃথকভাবে বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে। এখন থেকে এই বাড়ি হবে বিজেপির পরিবর্তন যুদ্ধের অফিস, পরে তা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বদলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বিজেপির। তবে বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যখন কুঁড়েঘরে থেকে রাজ্য শাসন করছেন, তখন বিজেপির এই বিলাসবহুল ভাবনা কতটা কার্যকর হবে বাংলায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
তৃণমূলের কুঁড়েঘরে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের! ১২ ঘরের মালিক 'স্বপ্নে বিভোর’