বিজেপির প্রাক্তন বনাম বর্তমানের লড়াই প্রকাশ্যে, অনুব্রতর গড়েই রথ নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে
যে জেলায় বিজেপি থাবা বসাতে চাইছে সবার প্রথম, সেই অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমেই বিজেপি জড়াল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। বিজেপির প্রাক্তন ও বর্তমান জেলা সভাপতির অনুগামীরা জড়াল হাতাহাতিতে।
যে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বাংলার বুকে বিজেপি অক্সিজেন পেতে চাইছে, সেই রথযাত্রার বৈঠক ঘিরেই গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হল। আর যে জেলায় বিজেপি থাবা বসাতে চাইছে সবার প্রথম, সেই অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমেই বিজেপি জড়াল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। তা আবার নিছকই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, বিজেপির প্রাক্তন ও বর্তমান জেলা সভাপতির অনুগামীরা জড়াল হাতাহাতিতে।
রথযাত্রার বৈঠকে দ্বন্দ্ব দুই শিবিরের
বীরভূমের বর্তমান জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় আর প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয় বলে অভিযোগ। বৈঠক চলাকালীন প্রবল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উভয় শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেই বিতণ্ডায় এমনই পরিস্থিতিতে পৌঁছয় যে হাতাহাতিতে পর্যন্ত গড়িয়ে যায়।
তারাপীঠের রথযাত্রার পরিকল্পনায় বিতর্ক
তারাপীঠ থেকে বিজেপির রথযাত্রা সূচনা করার কথা সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে রথযাত্রা। আগে ঠিক ছিল তারাপীঠ থেকে ৫ ডিসেম্বর রথ যাত্রার সূচনা হবে, তা পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়েছে। এই রথযাত্রার পরিকল্পনার চূড়ান্ত রূপ দিতে গিয়েই বিতর্ক দানা বাঁধে।
লড়তে হবে অনুব্রতর বিরুদ্ধে, তবু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
শুধু প্রবল শক্তিশালী তৃণমূল নয়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতার বিরুদ্ধে লড়তে হবে বিজেপিকে। এই অবস্থায় যখন এক হয়ে লড়াইয়ের পরিকল্পনা জরুরি, তখন বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মতবিরোধী প্রকাশ্যে চলে এল। এই ঘটনা বিজেপিকে অনেক পিছিয়ে দেবে অনুব্রতর জেলায়, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পশ্চিম প্রান্ত বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন দলের সহ সভাপতিরা। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের যুব সভাপতির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টিকে আমল দিতে না চাইলেও, জেলা নেতৃত্ব তা থেকে বের হতে পারছে না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই উঠে আসছে এই ঘটনা।