বাম-তৃণমূল আঁতাত দেখছে বিজেপি, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রচার সুকান্তদের
বাম-তৃণমূল আঁতাত দেখছে বিজেপি, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রচার সুকান্তদের
বাম ও তৃণমূলের আঁতাতকে প্রচারে হাতিয়ার করছে বিজেপি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের লক্ষ্যে এক মঞ্চে হাজির হওয়া থেকে শুরু করে বরখাস্ত শিক্ষকের তালিকায় সিপিএম নেতার নাম নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। সেই মর্মে তারা প্রচারেও জোর দিতে চাইছে। রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে এবার সিপিএম তথা বামেদের জুড়ে বিজেপি প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে বাম-তৃণমূল জোট!
এতদিন সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে দেখা গিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের আঁতাত নিয়ে প্রচারে ঢাল করতে। বামফ্রন্টের তরফে বিজেমূল বলে প্রচারে ঝড় তুলতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। এবার বিজেপি সেই প্রচারটাই ফিরিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল ও সিপিএম তথা বামেদের যোগসূত্র তুলে ধরে। বিজেপির বিরুদ্ধে বাম-তৃণমূল যে জোট বেঁধেছে তা তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর তারা।
বিজেপি প্রচারে আঁতাত নিয়ে ঝড় তুলছে
বিজেপি প্রচার করতে চাইছে, যতই পথে নামুন বামেরা বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লম্বা-চওড়া কথা বলুন, দিনের শেষে বামফ্রন্ট আর তৃণমূলের গোপন আঁতাত রয়েছে। তা বারে বারে পরিস্ফুট হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি নির্বাচনে বামেদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পর থেকেই বিজেপি এই অভিযোগ করে আসছিল। এখন বরখাস্ত শিক্ষকের তালিকা আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির বিরোধিতা করতে তৃণমূলের ডাকে সিপিএমের যাওয়ার পর থেকেই বিজেপি প্রচারে ঝড় তুলেছে।
তৃণমূল ও সিপিএমের গোপন আঁতাত!
বরখাস্ত শিক্ষকের তালিকায় সিপিএম নেতার মেয়ের খোঁজ পেয়েই বিজেপি কোমর বেঁধেছে প্রচারে। তাঁদের অভিযোগ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০১৪ সালে নিয়োগ হওয়া ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। মাইনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই অবস্থায় বরখাস্তদের তালিকায় বৈশাখীর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তৃণমূল ও সিপিএমের গোপন আঁতাতের তত্ত্ব তুলে ধরেছে।
দিনের শেষে গোপন আঁতাতের তত্ত্ব সুকান্তের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে গোপন আঁতাত রয়েছে বামফ্রন্ট ও তৃণমূলের। এতদিন সিপিএম বা বামফ্রন্ট বিজেমূল বলে প্রচার করেছে, আবার তৃণমূল প্রচার করেছে জগাই-মাধাই-বিলাই। কিন্তু তার কোনও সারবত্তা নেই। এখন দেখা যাচ্ছে বামফ্রন্ট আর তৃণমূলের গোপন আঁতাতের একটা সারবত্তা রয়েছে।
বামেদের ‘নো ভোট টু বিজেপি’ কেন?
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণে বামেরা ভালোভাবেই জানে তাদের দ্বারা ক্ষমতা দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাই শাসকদলকে খুশি রেখে তারা চলছে। শাসক দলকে খুশি রাখতে পারলে শাসক দলও তাদের খুশি করে দেবে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক অস্তিত্বও বজায় থাকবে। তাঁর কথায়, এই কারণেই কি বামেরা 'নো ভোট টু বিজেপি' বলে প্রচার করেছিল?
বঙ্গে বিরোধিতা, দিল্লিতে মিত্রতা
সুকান্তের কথায়, তৃণমূলও জানে সরকার বিরোধী ভোট যতটা ভাগ করা যায়, ততটাই মঙ্গল। এই কারণেই কিছু বামমনষ্ক মানুষকে বুদ্ধিজীবী সাজিয়ে ভাতা দিয়ে সরকারের ঢাল হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। তাহলেই বিরোধী ভোট ভাগ করে সরকারে দীর্ঘদিন থাকা যাবে। আর পশ্চিমবঙ্গে বিরোধিতা আর দিল্লিতে সবাইকে পাশাপাশি এক মঞ্চে এক টেবিলে দেখা যায় বলেও অভিযোগের তির ছুড়েছেন সুকান্ত।
গোপন সম্পর্ক! অতএব সাধু সাবধান
সুকান্ত মজুমদার আরও অভিযোগ করেন, নবান্নে গিয়ে ফিসফ্রাই সৌজন্য সাক্ষাৎকারের পিছনে কি বোঝাপড়া ছিল, সরকারি সুবিধা ও চাকরি দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল? সেই প্রশ্ন কিন্তু মানুষ তুলছে। আর যারা বুদ্ধিমান, তারা কিন্তু বুঝতে পারছে, তৃণমূল-সিপিএম বা তৃণমূল-বামেদের বোঝাপড়া রয়েছে গোপনে গোপনে। অতএব সাধু সাবধান।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ, সাসপেনশন ওঠার পরই নয়া বিতর্ক