উলটপুরান! পুরভোটে এবার প্রার্থী নন অধিকারী পরিবারের কেউ, সৌজন্যে বিজেপি
শুভেন্দুরা দু-ভাই ঢাকঢোল পিটিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
শুভেন্দুরা দু-ভাই ঢাকঢোল পিটিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার অদ্যাবধি পরেই কাঁথি পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী যোগ দেন বিজেপিতে। সেই সৌম্যেন্দু এবার বিজেপির টিকিট পেলেন না আসন্ন পুরসভা ভোটে।
একেবারে শেষলগ্নে বিজেপি কাঁথি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে অধিকারী পরিবারের কারও নাম ছিল না। মনে করা হয়েছিল, যথারীতি সৌম্যেন্দু অধিকারী টিকিট পাবেন কাঁথি পুরসভায়। কিন্তু তাঁর নাম তো নেই-ই। অধিকারী পরিবারের অন্য কারও নামও নেই বিজেপির প্রার্থী তালিকায়।
অধিকারী পরিবারের দু-জন তৃণমূল ছেড়ে সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী আর তাঁর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দুর পিতৃদেব শিশির অধিকারী সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও হাজির হয়েছিলেন অমিত শাহের মঞ্চে। তবে দিব্যেন্দু অধিকারীকে কখনই বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়নি।
এখন অধিকারী গড়ে পুরসভার ভোটে অধিকারী পরিবারের কেউ প্রার্থী হবেন না, তা যেমন অভাবনীয়, তেমনই অভাবনীয় বিজেপিতে গিয়েও প্রার্থীতালিকায় শুভেন্দু-র পরিবারের কারও না থাকা। এর কারণ নিয়ে ইতিমধ্যে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার উপর সৌম্যেন্দু কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁকেই টিকিট দিল না বিজেপি।
গত তিন দশক ধরে কাঁথি পুরসভার কর্তৃত্ব ছিল অধিকারী পরিবারের হাতে। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শিশির অধিকারী। তারপর ২০০৬ সালে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হল শুভেন্দু অধিকারী। ২০১০ সালে শুভেন্দু অধিকারী সেই পদ ছাড়লে চেয়ারম্যান করা হয় তাঁর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দায়িত্বে। তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
১০ বছর কাঁথি পুরসভার দায়িত্ব সামালানো সৌম্যেন্দু ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতেন। এবার সেই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী করেছেন গোবিন্দ খাটুয়াকে। সাবধানী হয়েই বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। কেননা, বিজেপি চায়নি শেষ মুহূর্তে সঙ্কট তৈরি হোক বা বিতর্ক হোক পুরসভার প্রার্থী বাছাই নিয়ে।
কারণ এক সপ্তাহ আগে কাঁথি পুরসভায় বিজেপিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সৌম্যেন্দুর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই কাউন্সিলর দল ছেড়েছেন। মোট পাঁচ নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জল্পনা তৈরি হয়েছে সৌম্যেন্দুকে বিজেপিতে টিকিট না দেওয়ার কারণ নিয়ে।