বিজেপিতে নতুন দ্বৈরথ শুরু, মুকুল-যুগাবসানে দিলীপের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন যিনি
বিজেপিতে দ্বৈরথের আর শেষ নেই। মুকুল রায়ের যোগদানে বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়েছিল দিলীপ-মুকুল দ্বৈরথ। তার আগে দিলীপের সঙ্গে রাহুলের দ্বৈরথ ছিল।
বিজেপিতে দ্বৈরথের আর শেষ নেই। মুকুল রায়ের যোগদানে বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়েছিল দিলীপ-মুকুল দ্বৈরথ। তার আগে দিলীপের সঙ্গে রাহুলের দ্বৈরথ ছিল। আর মুকুল-বিসর্জনে শুভেন্দু ছাড়াও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আরও এক প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হয়েছে বাংলায়, তিনি আর কতেউ নন মোদী ঘনিষ্ঠ রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। অন্তত রাজনৈতিক মহল তা-ই মনে করে।
দিলীপের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হয়ে গিয়েছিলেন স্বপন!
মূলত তাত্ত্বিক নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। মোদী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এহেন স্বপন দাশগুপ্তকে বাংলায় সক্রিয় করা হয়েছিল বিধানসভা ভোটের আগে। প্রচার ছিল, বিজেপি জিতলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। কোনও অজানা কারণেই তাঁকে দিলীপের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে বলা হত।
স্বপন দাশগুপ্তের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক
সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক, তা বোঝা গেল- ভোটে হারার পর তাঁকে ফের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে ফিরিয়ে নেওয়ার পর। দিলীপ ঘোষ তা একেবারেই মানতে পারেননি। প্রতিবাদ গিয়েছিল স্বপন-বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছ থেকে। কেন প্রার্থী হয়ে রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ, তারপর কেনই বা ফের রাজ্যসভায় ফিরিয়ে নেওয়া, সমালোচনা হয়েছিল তা নিয়ে।
অরুণ জেটলির কথা তুলে ধরে রাজনীতির পাঠ স্বপনের
আর এবার অরুণ জেটলির কথা তুলে ধরে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর টুইট বঙ্গ বিজেপিকে নিশানা করে। এবাং আরএও স্পষ্ট করে বললে স্বপনের টার্গেট ছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও তিনি তা মানতে চাননি। স্বপনবাবু বলেন, কারও নাম উল্লেখ করিনি। রাজনীতির যে পাঠ শিখেছিলাম, তা-ই শেয়ার করেছি।
দুই নেতার দ্বৈরথ জমে গিয়েছে ভোটে হারের পর
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তিনি ওই তিন তত্ত্ব কথায় কাকে ইঙ্গিত করেছেন, তা উল্লেখ না করলেও বুঝতে অসুবিধা হয়নি। আর টার্গেট যে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন স্বপন দাশগুপ্তকে পাল্টা দিয়ে। দুই নেতার দ্বৈরথ জমে গিয়েছে। ভোটে হারের পর বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে যাচ্ছে বারবার।
|
স্বপন দাশগুপ্তের তিন রাজনৈতিক পাঠ ও নিশানা
বিজেপি রাজ্যসভার সাসংদ টুইটে লেখেন, প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমার প্রাক্তন বন্ধু অরুণ জেটলির কাছ থেকে আমি অনেক রাজনৈতিক পাঠ শিখেছি। প্রথম পরামর্শ, সাংবাদিক মুখের সামনে মাইক্রোফোন ধরলেই উত্তর দিতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। দ্বিতীয় কখনও কখনও নিজের মতামত প্রকাশ করতে নেই। আর তৃতীয় হল, প্রতিটি বিষয়ে নিজের মতামত জানাতেই হবে এমন কোনও কথা নেই।
স্বপন দাশগুপ্তের তত্ত্ব কথার জবাব দিলীপ ঘোষের
এরপর স্বপন দাশগুপ্তের তত্ত্ব কথার জবাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পাল্টা বলেন, এখন আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর সময়, তা না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি করার সময় নয় এটা। ঠান্ডা ঘরে বসে ওসব করা যায়। স্বপন দাশগুপ্তের টুইটের পর শুরু হয়ে গেল বিজেপিতে ঠান্ডা লড়াই। শুরু হয়ে গেল আরও এক ডুয়াল।