দু থেকে তিনমাসের মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন, কথা রবিশঙ্করের সঙ্গেও! মুকুল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক শুভেন্দু
বিধানসভা ভোট মিটতেই ঘরে ফিরলেন মুকুল! পুত্র শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়েই ফুল বদল চাণক্যের। তাঁর হাত ধরেই তৃণমূলে নাম লেখাতে চলেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। সূত্রের খবর
বিধানসভা ভোট মিটতেই ঘরে ফিরলেন মুকুল! পুত্র শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়েই ফুল বদল চাণক্যের। তাঁর হাত ধরেই তৃণমূলে নাম লেখাতে চলেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। সূত্রের খবর, তৃণমূলে ফিরতেই ১০ বিজেপি বিধায়ককে ফোন করেছেন মুকুল রায়। তালিকাতে রয়েছেন দুই সাংসদও।
আর মুকুল দলবদল করতেই সুর চড়ালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলত্যাগ বিরোধী আইন মানেননি বলে অভিযোগ তাঁর।
শুধু তাই নয়, শুভেন্দু আরও বলেন, ''মুকুল রায়কে দিয়ে যা শুরু হল, তা দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে হয়নি। দু'মাস হোক, তিন মাস হোক, বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলায় এই আইন কার্যকর করেই ছাড়ব আমি।''
অন্যদিকে, এদিন সকালে দিলীপ ঘোষের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগে কোনও ক্ষতি হবে না। তখন দিলীপ ঘোষ পাল্টা প্রশন করেন, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে এলে যদি তাদের কোনও ক্ষতি না হয়, তাহলে তিনি বিজেপি ছেড়ে গেলে ক্ষতি হবে কে?
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল সম্পর্কে তিনি তেমন গুরুত্ব দিতে রাজি হননি। প্রায় তিন বছর নয় মাস আগে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুক্রবার কার্যত নিজের ঘরে ফিরলেন মুকুল রায়।
এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কিছু নেতা দলবদলকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। বিষয়টিকে ওইসব নেতাদের ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
শুক্রবার মুকুল রায়ের দলত্যাগ প্রসঙ্গকে গুরুত্ব না দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, দলের বহু কর্মী ঘরছাড়া, সবাইকে ঘরে ফেরানো এখন বড় কাজ বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে কে এল কে গেল তা তিনি ভাবতে চান না বলেই জানিয়েছিলেন।
কিন্তু দিলীপের মতো কোনও রাখঢাক করতে চাইছেন না শুভেন্দু। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও ব্লক সভাপতিদের বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠক সেরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাফ জানিয়ে দেন, বাংলায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর। ভোটের কয়েক মাস আগে শুভেন্দু নিজেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন।
তবে শুভেন্দুর বক্তব্য, ''দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এক জন সাধারণ কর্মী হিসেবে বিজেপি-র সদস্যপদ গ্রহণ করি আমি। কিন্তু এ বেলায় তা হয়নি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। দলত্যাগ আইন মেনেই দল ছাড়তে হবে। তার বাইরে উপায় নেই।''
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে পালটা শুভেন্দুকে আক্রমণ শানানো হয়েছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, শিশির অধিকারী এখনও দলের হয়ে সাংসদ। এখনও সেই পদ ছেড়ে দেওয়া উচিৎ তাঁর। আর তা ছেড়েই শুভেন্দুবাবুর কথা বলা উচিৎ বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।