সেরেল্যাক খান 'অবুঝ' রাজীব! মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী হতে আসা অনেকেই তৃণমূলে যাবেন, বিস্ফোরক সৌমিত্র
সেরেল্যাক খান 'অবুঝ' রাজীব! মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী হতে আসা অনেকেই তৃণমূলে যাবেন, বিস্ফোরক সৌমিত্র
দলবদলের পরে ব্যারাকপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫৫ বছরের শিশু বলেছিলেন। এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) সেরেল্যাক খাওয়ার পরামর্শ দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান (Soumitra Khan)। তিনি ইঙ্গিত করেছেন, এখনও বিজেপিতে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা তৃণমূলের (Trinamool Congress) যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
বাংলার রাজনীতির নতুন ভাবনা
সৌমিত্র খান কটাক্ষ করে বলেছেন, এটা খুব ভাল করেছেন, বাংলায় যোগ না দিয়ে ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তা এবার ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিজেপিকে ঠেঙানো তৃণমূলীরা এবার কী করবেন, প্রশ্ন করেছেন তিনি। বাংলায় রাজনীতি নয়, রাজনীতিকে নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বাংলায় সৌজন্যমূলক রাজনীতির ডাক দিয়েছেন সৌমিত্র।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা সৌমিত্র খানের
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে ফেরার পরে বলেছিলেন, ভুল করেছিলেন, যার জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং লজ্জিত। এব্যাপারে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান বলেছেন, ৫৫ বছর বয়সে তিনি এতটাই বাচ্চা ছিলেন, যে বুঝতেই পারেননি বিজেপি সরকারে আসতে পারবে, নাকি পারবে না। একবার ফেল করলেও পরের বার পাশ করবে, এই মানসিকতা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বুঝতে পারেননি, তাই সেরেল্যাক রয়েছে, মাঝে মধ্যে খেয়ে নেবেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।
এসেছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে
সৌমিত্র খান বলেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে এসেছিলেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে। তিনি বলেন, যখন ডেপুটি চিফ মিনিস্টার হতে বিজেপিতে এসেছিলেন, তখন হাসি পেয়েছিল। কেননা মমতাদি আপনাকে অনেক জায়গা দিয়েছিল। আর এমনই পরিস্থিতি হল যে বাংলায় যোগ দিতে পারবেন না, তাই গেলেন ত্রিপুরায়। তবে আরও অনেকেই যে দলবদলের তালিকায় রয়েছেন, সেই ইঙ্গিত করেছেন সৌমিত্র খান। বলেছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন, তাঁরা হয়তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো অপেক্ষা করছেন। তবে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে এব্যাপারে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কেননা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ টা লোক নিয়ে আসতে পারেননি।
তৃণমূলের কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন
তৃণমূলের
বুথ
কর্মীদের
উদ্দেশে
তিনি
বলেছেন,
নিচুস্তরে
যে
মারামারি
করছ,
তা
কার
জন্য
করছ?
এই
নেতাই
এবার
মাথায়
বসবে।
তাই
মারামারি,
ঝগড়া
করে
লাভ
নেই।
তাঁর
প্রশ্ন
নিচুস্তরের
তৃণমূল
কর্মীরা
১০
বছরে
কী
পেয়েছেন।
রাজীব
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মতো
নেতারা
বিজেপিতে
এসেছিলেন,
আবার
তৃণমূলে
ডুব
দিয়েছেন।
কিন্তু
নিচুতলার
তৃণমূল
কর্মীরা
যে
তিমিরে
ছিলেন,
সেই
তিমিরেই
থাকবেন।
বিজেপি
কর্মীদের
উদ্দেশে
তিনি
বলেছেন,
২০১৯-এর
জানুয়ারিতে
তিনিও
এসেছিলেন,
রয়ে
গিয়েছেন।
হিন্দুত্বকে
রক্ষা
করার
চেষ্টা
করবেন।