বাংলায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি সৌমিত্রর, বিধানসভার অশান্তি নিয়ে লোকসভায় সরব সাংসদ
বাংলায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি সৌমিত্রর, বিধানসভার অশান্তি নিয়ে লোকসভায় সরব সাংসদ
একুশের নির্বাচনের পর থেকে বাংলা উত্তাল হয়ে উঠছে। বিশেষ করে পুরসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে পুড়ছে বাংলা। রামপুরহাট গণহত্যার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। সেই রামপুরহাট নিয়েই বিধানসভা রণক্ষেত্র হয়ে উঠল সোমবার। বিধানসভার সেই আঁচ নিয়ে লোকসভায় সরব হলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি তুললেন তিনি।
সোমবার বাংলার বিধানসভার ঘটনাপ্রবাহ নাটকীতায় ভরা ছিল। তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়করা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় নাক ফাটে এক তৃণমূল বিধায়কের। রক্ত ঝরে বিধানসভায়। বিজেপির বিধায়করা কম-বেশি আহত হন। এই অবস্থায় বিধানসভার পারদ যখন টগবগ করে ফুটছে, তখন লোকসভায় রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলার পরিস্থিতি অরাজক হয়ে উঠছে। সেখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৩৫৫ ধারা জারি করা জরুরি। বাংলার বিধানসভায় এদিন যা ঘটেছে, এমন নজির কোথাও নেই। কোনও বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন বিরোধদীের উপর এভাবে হামলা করা হয়নি। কিন্তু বাংলার বিধানসভায় হামলা করা হল।
এদিন বাংলার বিধানসভার ঘটনা বর্ণনা করে সৌমিত্র খাঁ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আর্জি জানান, বাংলায় অনতিবিলম্বে ৩৫৫ ধারা লাগু করা হোক। বাংলার প্রশাসনের আর মানুষকে রক্ষা করার ক্ষমতা নেই। তাই রাজ্যকে শাসকের আগ্রাসন ও প্রতিনিয়ত অরাজক পরিস্থিতি থেক রক্ষা করতে, বাংলার মানুষকে বাঁচাতে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ জরুরি।
এর আগে একাধিকবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাংলায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি করেছেন। ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবিও উঠেছে। একাধিকবার রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। আবারও এই দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। লোকসভাতেও ৩৫৫ ধারার দাবি তোলে হয়েছে।
একুশের নির্বাচনের আগেও একাধিকবার এই দাবি তুলে তৃণমূলকে চাপে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু একুশের নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ার পর কিছউদিন ৩৫৫ ধারা বা ৩৫৬ ধারা থেকে মুখ ফিরিয়েছিল। সম্প্রতি ঘটনাপ্রবাহের জেরে বিজেপি আবার ৩৫৫ ধারার দাবি তুলতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বিজেপি বোঝানোর চেষ্টা করছে, রাজ্যের আইনের শাসন চলছে না। রাজ্যে চলছে শসাকের আইন। এতদিন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব ছিল বিজেপি। এখন সেইসঙ্গে যুক্ত হল আনিস-কাণ্ড, পানিহাটি-কাণ্ড, রামপুরহাট-কাণ্ড এবং বিধানসভা-কাণ্ডও।