বড়সড় ভাঙন তৃণমূল কংগ্রেসে! অভিষেককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে ঘর ভাঙছেন সৌমিত্র
বিজে্পিতে যোগ দিয়েই তিনি সাংসদ হয়েছেন। সেইসঙ্গে ২০২১-এর আগে তিনি বিজেপিতে সাংগঠনিক গুরুত্বও বাড়িয়ে নিয়েছেন।
বিজে্পিতে যোগ দিয়েই তিনি সাংসদ হয়েছেন। সেইসঙ্গে ২০২১-এর আগে তিনি বিজেপিতে সাংগঠনিক গুরুত্বও বাড়িয়ে নিয়েছেন। বিজেপিতে যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের 'যুবরাজ' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত দিয়ে যাচ্ছেন সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের যুব নেতা-কর্মীদের তিনি নিজের দিকে টেনে নিতে সক্ষম হচ্ছেন।
মুকুল রায়ের সৌজন্যে তৃণমূলের যুব সভাপতি হন তিনি
সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসেরও যুবর দায়িত্বে ছিলেন। শুভেন্দুর হাত ঘুরে যুব তৃণমূলের দায়িত্ব বর্তেছিল সৌমিত্র খাঁয়ের উপর। মুকুল রায়ের সৌজন্যে তৃণমূলের যুব সভাপতি হন তিনি। তখন যুবার সভাপতি অভিষেক। যুব ও যুবা সংগঠন মিলে যাওয়ার পর দায়িত্ব বর্তায় অভিষেকের কাঁধে।
এক বছর যেতে না যেতেই তিনি যুবর দায়িত্বে
এরপর মুকুল রায় বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার পর ২০১৯ লোকসভা নির্বচনের আগে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই তিনি বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি। তিনি যুবর দায়িত্বে নিতেই বিজেপিতে ফের যুব নেতা-কর্মীর ঢল নামতে চলেছে বলে দাবি সৌমিত্রর।
সৌমিত্রর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ
সোমবার তিনি তৃণমূল যুব সংগঠনের ঘর ভাঙেন বাঁকুড়ায়। সেইসঙ্গে অন্য বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়েও কর্মীরা যোগ দেন বিজেপিতে। সৌমিত্রর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন প্রায় হাজার খানেক কর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।
তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিলেন সৌমিত্র
সৌমিত্র সংসদীয় ক্ষেত্র বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের কোতুলপুর, সোনামুখী, বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন। বাঁকুড়া বিজেপির শক্তি বাড়ল এই যোগদানে। একইসঙ্গে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিলেন সৌমিত্র। বিশেষ করে অভিষেকের চাপ বাড়ালেন তিনি।
তৃণমূলের দলটাই আর থাকবে না : সৌমিত্র
বিজেপিতে যোগ দিয়েই পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কর্মীরা। এই সঙ্কট সময়ে শাসক দলের উপর ভরসা রাখতে না পেরেই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সৌমিত্র এই যোগদানের পর বলেছেন, তৃণমূলের দলটাই আর থাকবে না। যুবরাজ আর তাঁর ঘর সামলাতে পারবেন না। একুশের নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ফোঁপরা হয়ে যাবে।