চাঁদার জুলুমবাজি, জাতীয় সড়কে গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন রূপা
চাঁদার জন্য দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে সাংসদের গাড়ি। সেইসময় গর্জে উঠলেন রূপা। জাতীয় সড়কে গাড়ি থেকে নেমে বিজেপি সাংসদ প্রতিবাদ করলেন চাঁদার এই জুলুমবাজির।
চাঁদার জুলুমের শিকার হলেন খোদ বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। চাঁদার জন্য দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে সাংসদের গাড়ি। সেইসময় গর্জে উঠলেন রূপা। জাতীয় সড়কে গাড়ি থেকে নেমে বিজেপি সাংসদ প্রতিবাদ করলেন চাঁদার এই জুলুমবাজির। সেইসময় বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিষেধ সত্ত্বেও চাঁদার জুলুমবাজি চালিয়ে যাওয়ায় হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কের উপর আলমপুর মোড়ে চাঁদা আদায় করছিলেন কয়েকজন যুবক। চাঁদার জুলুমবাজির জেরে লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল জাতীয় সড়কে। গাড়ির ভিড়ে আটকে গিয়েছিলেন সাসংদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর তিনি বিরক্ত হয়ে নেমে পড়েন। এগিয়ে গিয়ে দেখেন, চাঁদা আদায়ের জন্যই এই যানজট।
ট্রাক থামিয়ে সমানে কয়েকজন যুবক চাঁদার জুলুমবাজি করে যাচ্ছেন। তাঁদের এই জুলুমবাজির প্রতিবাদ করেন রূপাদেবী। কিন্তু তিনি প্রতিবাদ করতেও কেউ পিছপা হননি ওই কাজ থেকে। সমানে তাঁরা সাংসদের সঙ্গে তর্ক চালিয়ে যাতে থাকেন। এইসময় রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,'আপনারা যে কাজটা করছেন, সেটা ঠিক নয়।'
এরপর উল্টোদিক থেকে চাঁদা আদায়কারীরা বলেন,'তাঁরা চাঁদা আদায় বন্ধ করবেন না। চাঁদা তাঁরা তুলবেনই।'এমন জানান আদায়কারীরা- তাঁরা জুলুমবাজি করছেন না। কোনও অন্যায়ও তাঁরা করছেন না। এরপরই হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, চাঁদার এই জুলুমবাজি চলতে থাকলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না। যা করার তিনি করে নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।