বিজেপির সম্ভাব্য আসন ২০০! মুকুল-দিলীপের দিল্লির বিবাদ উসকে বার্তা রানাঘাটের সাংসদের
বিজেপির সম্ভাব্য আসন ২০০! মুকুল-দিলীপের দিল্লির বিবাদ উসকে বার্তা সাংসদের
বিজেপি কত আসন পাবে ২০২১-এর নির্বাচনে। তা নিয়ে দিল্লির বৈঠক থেকেই বিজেপির অন্দরে ঝড় উঠেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসন সংখ্যার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বিবাদের জেরেই বৈঠক সেরে মুকুল রায় ফিরে এসেছিলেন কলকাতায়। ফের সেই বিজেপির সম্ভাব্য আসনপ্রাপ্তির সংখ্যা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মত দিলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
বাংলায় ২০০-র বেশি আসন বিজেপির!
রানাঘাটের সাংসদের কথায়, বাংলায় আমরা ২০০-র মতো আসন পাবো। এটা নিশ্চিত যে, ২০০-র আশেপাশে থাকবে বিজেপির আসন। বিজেপি ক্ষমতায় আসছে তা একপ্রকার পরিষ্কার হয়েই গিয়েছে। এখন আসন সংখ্যা কত বাড়ে সেটাই দেখার। বাংলার মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন, তাতে বিজেপির প্রাপ্ত আসন ২০০-র বেশি হলেও আমরা অবাক হব না।
মুকুল-দিলীপের মত পার্থক্য যেখানে
বিজেপির দিল্লির বৈঠকে দিলীপ ঘোষ রিপোর্ট পেশ করেছিলেন বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা তারা অন্ত ১৯০ আসন পাবেন। ফলে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। এই অবস্থায় মুকুল রায় তার প্রতিবাদ করে জানান, যতটা সহজ ভাবা হচ্ছে, বাংলা দখল ততটা সহজ নয়। তা নিয়েই মতপার্থক্য দেখা দেয়।
দিলীপ-মুকুলের মতপার্থক্য নিয়ে সাংসদ
এবার রানাঘাটের সাংসদও দিলীপ ঘোষের কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। তিনিও জানালেন ২০০-র কাছাকাছি আসন পাবে বিজেপি। তবে মুকুল রায়ের মত পার্থক্যকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তাঁর সাফ কথা বড় দলে মতপার্থক্য থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। তারপর গঠনগত আলোচনা হলে দ্বিমত হতেই পারে।
মুকুল রায়কেই নেতৃত্ব চাইছেন জগন্নাথ
জগন্নাথ সরকার বলেন, আমরা আদর্শ নিয়ে দল করি। আমাদের দলে শুধু একটা খুঁটি্ নয়, অনেকে রয়েছে। তাই মতপার্থক্য থাকতেই পারে। এছাড়া কোনও কোন্দল নেই আমাদের দলে। মুকুল রায়ই আসন্ন বিধানসভা লড়াইয়ের সেনাপতি। তাঁর হাতেই তৃণমূল সৃষ্টি, আর তাঁর হাতেই ধ্বংস হবে।
করোনা কমলেই আম্ফানের মতো ঝড় তৃণমূলে!
জগন্নাথবাবু বলেন, শুধু করোনা কমতে দিন, তারপর দেখবেন আম্ফানের মতো ঝড় উঠবে। দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেবে। আম্ফান যেমন বড় বড় গাছকে এক লহমায় ভেঙে দিয়েছিল, তেমনই তৃণমূলেও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে। ওই দলটাই আর থাকবে না।
মানুষ আছে, নেতা চান না জগন্নাথ
তাঁর কথায় স্পষ্ট, বাংলার মানুষ চাইছে পরিবর্তন। তাঁরা বুঝতে পেরে গিয়েছেন তৃণমূলের পক্ষে সুশাসন আনা সম্ভব নয়। একমাত্র বাংলাকে সোনার বাংলা রূপে গড়তে পারে বিজেপি। মানুষ তাই বিজেপির দিকে আসছেন। আমরা তাই আর নেতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না। বাংলার মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।
তৃণমূল নেতাদের আর চাইছে না বিজেপি! দলে দলে কর্মীদের যোগদানে উৎফুল্ল সাংসদ