ফের পাহাড়ে হামলার মুখে বিজেপি সাংসদ, উঠল পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ
দার্জিলিংয়ের পর কালিম্পং! ফের পাহাড়ে হামলার মুখে পড়লেন দার্জিলিংয়ের বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তা। অভিযোগের তীর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও তৃণমূলের দিকে! হামলার পাশাপাশি বিজেপি সাংসদের গাড়ি ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। হামলাকারীরা তাঁকে কালো পতায় দেখায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার, সেদিন সকালে কালিম্পংয়ে একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি যখন মন্দিরখোলা এলাকায় এসে পৌঁছায়,তখন আচমকাই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। প্রথমে গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে, কালো পতাকা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন হামলাকারীরা। এরপর,গাড়ি থেকে একপ্রকার জোর করে নামিয়ে বিজেপি সাংসদকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। বাধা দিতে আসলে তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়। তাতে কয়েকজন কর্মী জখম হন বলে খবর। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ এসে বিজেপি সাংসদকে উদ্ধার করে কালিম্পংয়ের দিকে রওনা করিয়ে দেয়।
এদিকে,এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিলিগুড়িতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তাঁদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। যদিও, পুলিশ তাঁদের হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। গ্রেফতারও করা হয় বিজেপি কর্মীদের।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, "প্রায় ৮০-১০০ জন মিলে আমার গাড়িতে হামলা চালায়। গো ব্যাক স্লোগান দেয়, কালো পতাকা দেখানো হয়। এমনকি আমাকে হেনস্থাও করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য বিনয়পন্থী ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই দায়ি।" তাঁর আরও অভিযোগ,"একমাস আগে ঠিক একইভাবে দার্জিলিংয়ে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তখনও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। পুলিশকে জানানো হয়েছিল আমার কর্মসূচির ব্যাপারে। তারপরেও, কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি।"