হুগলির তেলিনিপারায় ঢুকতে বাধা লকেটকে, ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি সাংসদ
হুগলির তেলিনিপারায় ঢুকতে বাধা লকেটকে, ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি সাংসদ
হুগলির তেলিনিপাড়ার ঘটনায় সাংসদকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। চন্দননগরের কমিশনার এলাকার সাংসদকে নিজের অফিস থেকে বেরোতে দেননি এবং যেখানে দাঙ্গা হচ্ছিল সেখানেও যেতে দেননি বলে অভিযোগ। পুলিশের ভূমিকায় খুব উপরে দিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ
রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ওই এলাকায় গেলে পুলিশ আটকে দেয় হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। মানকুণ্ডু জ্যোতির মোড় থেকে লকেটকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
লকেটকে বাধা
ঘটনায় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে কাঠ গড়ায় তুলে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'করোনা ধরা পড়ার পরও একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর লোকজন কোয়ারেন্টাইনে যেতে চাইছে না। প্রশাসন তাহলে কী করতে আছে! সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসতর্কতা এবং পুলিশের ব্যর্থতার কারণে পুরো চন্দননগর এখন আতঙ্কিত ও ভয়ভীত। করোনা আক্রান্ত রোগীর অবাধে ঘুরে বেড়ানোতে বাধা দেওয়ায় গতকাল তেলিনিপাড়ায় ভাঙচুর, লুটপাট, মারধর চালানো হয়। এর আগেও সিঙ্গুর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে একইরকম দৃশ্য দেখা গেছে যেখানে এই সম্প্রদায় পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়।এটা কি মগের মুলুক নাকি!'
সাংসদের গাড়ি আটকানো
তাঁর গাড়ি আটকানো নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিনেত্রী সাংসদ বলেন, "আমি ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে আসিনি। ওই এলাকায় ঢুকতামও না। শুধু পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমায় সেটাও করতে দিল না। '
লকেটের অভিযোগ
তিনি বলেন, 'পুলিশ ভয় পাচ্ছে পুলিশের ওপর থেকে পারমিশন নেই পুলিশকে শুধু রমজান মাস শান্তির মাস তাই ওরা লাথি মারলে ওদেরকে চাল-ডাল বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি আছে। ওরা লাথি মারলে পুলিশ লাথি খাবে। কিন্তু যে মানুষ দীর্ঘ দেড় মাস ধরে করার বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে একশ্রেণীর মানুষ তাদের বিরুদ্ধে লুটপাট চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবে না।
সংসদকে ঘোরানোর অভিযোগ
এছাড়াও এদিন ঘটনাস্থলে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় গেলে চন্দননগরের কমিশনার এলাকার সাংসদকে নিজের অফিস থেকে বেরোতে দেননি এবং যেখানে দাঙ্গা হচ্ছিল সেখানেও যেতে দেননি বলে অভিযোগ লকেটের। কমিশনার তাঁকে ভদ্রেস্বর থানায় আসতে বলে কিন্তু পরে বলেন চন্দননগর থানায় আসতে। কিন্তু দু-জায়গায় গিয়েও সিপির দেখা পাননি বলে অভিযোগ তোলেন সাংসদ। পরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে তিনি রাজ্যপাল ও কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান।
প্রায় ৭৫ শতাংশ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ঘরে ফিরলেন উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের অভিবাসী শ্রমিকেরা