টাকা-চাকরি-মন্ত্রীপদ! সিপিএম ছাড়ার ভাবনার সময়েই এসেছিল বড় অফার, তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি সাংসদের
টাকা-চাকরি-মন্ত্রীপদ! সিপিএম ছাড়ার ভাবনার সময়েই এসেছিল বড় অফার, তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি সাংসদের
দীর্ঘদিনের সিপিএম (CPIM) বিধায়ক খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) দল ছেড়েছিলেন ২০১৯-এ। বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদহের সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর সিপিএম ছাড়ার সময়েই বড় অফার দিয়েছিল শাসক তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। টাকা-চাকরি-মন্ত্রীপদ সবই ছিল সেই অফারে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপি সাংসদের দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।
এসেছে অফারের প্রসঙ্গ
সংবাদ মাধ্যমের সামনে খগেন মুর্মু জানিয়েছেন, ২০১৯-এ তিনি যখন সিপিএম ছাড়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছিলেন, সেই সময় তাঁর কাছে বড় অফার এসেছিল। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলে যোগ দিলে এসএসসি-সহ আত্মীয় পরিজনদের ১০ টি সরকারি চাকরি, মোটা অঙ্কের টাকা ছাড়াও ক্যাবিনেট মন্ত্রীপদের অফার দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা ও সঙ্গীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে সেই অফার দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সাংসদ খগেন মুর্মু।
অফার আসছে এখনও
সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর দলবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এব্যাপারে খগেন মুর্মু দাবি করেছেন, ২০১৯-এর মতো এখনও তাঁর কাছে অফার আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর কাছে অফার এসেছে বলে দাবি করেছেন আদিবাসী সাংসদ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দলের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতান্তর হয়েছিল খগেন মুর্মু। তবে আপাতত তা কেটে গিয়েছে।
দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারদের নিয়ে দলের কর্মসূচিতে অংশ নেন। সাংগঠনিক সভার আগে দলের দুই নেতার সঙ্গে মিছিলে পা মেলান খগেন মুর্মুও। মঞ্চ থেকে তৃণমূলটকে তীব্র আক্রমণও করেন।
খগেন মুর্মুকে নিয়ে জল্পনা উড়িয়েছেন শুভেন্দু
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে ফিরেছেন। তারপর থেকে একাধিক বিজেপি সাংসদের দলবদল করা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তার মধ্যে ছিল উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদের নামও। সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের কর্মসূচিতে খগেন মুর্মুকে পাশে নিয়ে তিনি বলেছেন, অনেকেই বলেছিলেন খগেন মুর্মু তৃণমূলে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি বিজেপিতে থাকছেন। সঙ্গে সঙ্গে খগেন মুর্মু সম্মতিসূচক বার্তা দেন।
সাম্প্রতিক
সময়ে
পরেশ
অধিকারীর
বিরুদ্ধে
অভিযোগ
উঠেছে
২০১৮-তে
তিনি
তৃণমূলে
যোগ
দেওয়ার
পরেই
মেয়ে
অঙ্কিতা
অধিকারীর
চাকরি
হয়
এসএসসিতে।
অভিযোগ
উঠেছে
তাঁর
পরিবার-পরিজনদের
একের
পর
এক
সদস্যের
সরকারি
চাকরি
হয়েছে।
ওই
সময়ের
মধ্যে
তাঁর
সম্পত্তিরও
ব্যাপক
বৃদ্ধি
হয়েছে
বলে
অভিযোগ
বিরোধীদের।
মালদহের
বিজেপি
সাংসদের
মন্তব্য
সেই
অভিযোগকেই
সত্য
করল
বলে
দাবি
বিজেপি
নেতৃত্বের।
যদিও
তৃণমূলের
দাবি,
বিজেপি
সাংসদের
এই
মন্তব্যে
কোনও
ভিত্তিই
নেই।
মালদহ
জেলা
তৃণমূল
নেতৃত্বের
কটাক্ষ
উনি
এত
বড়
নেতা
নন,
যে
তাঁকে
উপুড়
হয়ে
স্বাগত
জানাতে
হবে।