পাগড়ি খোলা বিতর্ক! বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নিশানায় রাজ্য় সরকার
বিজেপি র নবান্ন অভিযানে শিখ সম্প্রদায়ের পাকরি খোলা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে এক হাত নিলেন রানাঘাটের বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, সাধারণ কর্মী সমর্থকদের তো মেরেছে-ই, বাদ যায় নি দলীয় নেতার দেহরক্ষী ও। বলবিন্দর সিং,একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী, যার আর্মস রাখার সরকারি অনুমোদন রয়েছে,তার উপর কিনা পাশবিক নির্যাতন সহ ন্যক্কারজনক আচরণ! সারা দেশের কাছে বাংলা সম্পর্কে কি বার্তা গেল!

আর এ রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নিয়ম-আচার মেনে মাথার পাগড়ি,সেটা পর্যন্ত খুলে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করে, তাকে টেনে হিঁচড়ে বেদম প্রহার করে সমাজকে, কি বার্তা সেদিন দিতে চেয়েছে রাজ্যের পুলিশ ! এ লজ্জা শুধু শিখ সম্প্রদায়ের নয়, লজ্জা সমগ্ৰ দেশবাসীর। সীমাহীন অত্যাচারের অবসান ঘটবেই। দ্রুত রাজ্যবাসী এই দূর্নীতিগ্ৰস্থ তৃনমূল সরকারের অবসান ঘটিয়ে বাংলায় সু শাসন ফিরিয়ে আনবেই,এ দাবি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের।
এদিন দলীয় এক কর্মসূচিতে শাসক দল তৃণমূলের উন্নয়নকে কটাক্ষ করে নদিয়া জেলার মায়াপুরে মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্য তথা জেলায় নাকি উন্নয়ণের জোয়ার বইছে। উন্নয়ণ এতটাই হয়েছে যে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় তীর্থভূমি,মায়াপুরের মহাপ্রভুর গৃহমন্দির এখন জলমগ্ন।
সাংসদ জগন্নাথ সরকারের আরও অভিযোগ, অল্প বিস্তর বৃষ্টি হলেই, জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আবাসিক পূণ্যারথী, পূজারী সহ তীর্থ যাত্রীদের। রাজ্যে উন্নয়ণ এতটাই হয়েছে যে, বৃষ্টি হলে বিভিন্ন সময়ে রাস্তা ঘাটে ধানের চাষ, মাছের চাষ পর্যন্ত করতে দেখা যায় বিক্ষোভ কারীদের।
রাস্তাঘাট নিয়ে তাঁর অভিযোগ, রাস্তাঘাট যান চলাচলের অযোগ্য, খানাখন্দ যুক্ত ভগ্নপ্রায় রাস্তায় পথ দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হচ্ছে কত নর-নারীর। এরপরও এই ব্যার্থ সরকার হয়তো বলবে তারা নাকি রাজ্যে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দিয়েছে ! বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধার অভিযোগের পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দলদাসে পরিনত করা নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি
আমফান ঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্ৰস্থদের আর্থিক অনুদান না দিয়ে দলের অভ্যন্তরে স্বজনপোষন সহ নানা তুষ্টিকরণের রাজনীতির পাকে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখন দুর্নীতির পাকে হাবুডুবু খাচ্ছে।

দৈনিক করোনা সংক্রমণে ৩৬০০-র গণ্ডি পেরিয়ে গেল রাজ্য! বাড়ল সক্রিয় আক্রান্ত, কমল সুস্থতার হার