বিজেপি সাংসদের তৃণমূলে ফেরার বার্তা ঘুরছে ফেসবুক পেজে, নেত্রী মমতার আহ্বানে বাড়ছে জল্পনা
বিজেপি সাংসদের তৃণমূলে ফেরার বার্তা ঘুরছে ফেসবুক পেজে, মমতার আহ্বানে বাড়ছে জল্পনা
এতদিন রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যেত কোন দলের কোন নেতাকে নিয়ে কী জল্পনা চলছে। করোনার বাজারে এখন জল্পনার উৎস হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া - ফেসবুক। রাজনৈতিক গ্রুপগুলো এখন একের পর এক জল্পনা ছড়ানোর মস্ত বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যেমন চার বিজেপি সংসদের দল ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল ফেসবুকে। আবার তাঁদের মধ্যে একজন সাংসদের দল ছাড়ার ফেসবুক-খবরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম।
তৃণমূলে ফেরার বার্তা ঘুরছে ফেসবুক পেজে
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, বিজেপির চার সাংসদ, ১ বিধায়ক ও ১৬ কাউন্সিলর...। তারপর থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। আবার বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামণিকের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে এক বার্তা ঘুরছে ফেসবুক পেজে। তা নিয়েই যত চর্চা, আলোচনা, বিতর্ক। অবশ্যই যা কিছু ফেসবুক পেজে। কেননা বাইরে যে রয়েছে করোনা।
বিজেপির বড় উইকেট ফেলার চেষ্টায় তৃণমূল
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ভুল করে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন একুশের মঞ্চ থেকে। তারপর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বিপ্লব মিত্র ও প্রশান্ত মিত্র। ফিরে এসেছেন হুমায়ূন কবীর। এবার বিজেপির আরও বড় উইকেট ফেলার চেষ্টায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফেসবুক রাজনীতিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে বিজেপি সাংসদদের ঘরে ফেরার ধ্বনি।
সোশ্যাল মিডিয়া ও জনসংযোগকে হাতিয়ার পিকের
এদিকে প্রশান্ত কিশোরও আবার তৃণমূলের দলত্যাগীদের ঘরওয়াপসির জন্য তাঁর টিম আইপ্যাককে রাজনীতির ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন। মোট কথা ২০২১-এর আগে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোর সোশ্যাল মিডিয়া ও জনসংযোগ কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে দলত্যাগীদের ঘরওয়াপসি ঘটাতে তৎপর।
বিজেপি থেকে তৃণমূলীদের ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা
ইতিমধ্যে বিজেপির তিনজন নেতা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। ফেসবুক পোস্টে জল্পনা চলছে এবার নিশীথ প্রামাণিক দল ছাড়বেন। ফের তৃণমূলে তাঁর ঘরওয়াপসি সময়ের অপেক্ষা। তারপর আরও অএনেকর নেতা রয়েছে লাইনে। রয়েছেন সাংসদ-বিধায়ক-কাউন্সিলররাও। গোটা তৃণমূল দল এখন বিজেপি থেকে তৃণমূলীদের ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়ে উঠেছে।
তৃণমূল হারার ভয়ে কুৎসা রটাচ্ছে, পাল্টা দিলীপের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওসব মিথ্যা-কুৎসা। বিজেপি ছেড়ে কেউ যাবেন না। বিজেপি ছেড়ে এখন তৃণমূলে যাঁরা যাবে তাঁরা পাগল ছাড়া কেউ নয়। কেননা বাংলায় পরিবর্তন হচ্ছেই, তা মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই তৃণমূলে গিয়ে আর পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূলও বুঝতে পেরে গিয়েছে ওদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই এইসব করে বেড়াচ্ছে।
তৃণমূলে রদবদলের পর রটনা কোচবিহারে
তবে কোচবিহারে তৃণমূলের খোলনোলচে এখন অনেক বদলে গিয়েছে। যাঁর সঙ্গে বিরোধে নিশীথ প্রামাণিক দল ছেড়েছিলেন তাঁকে সরিয়ে নতুন জেলা সভাপতি হয়েছে। দলের জেলা কমিটিতে এসেছে অন্য নাম। তাই এই আবহে যুব তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ঘরে ফেরেন কি না, নাকি এটা নিছকই রটনা, তার উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।
মোদীকে
'মিথ্যার
আবর্জনা’
দূর
করার
বার্তা,
স্বচ্ছ
ভারত
গড়ার
পরামর্শ
দিলেন
রাহুল