আল্লা নামে রেগে যায় না বিজেপি, মমতা মেজাজ হারান জয় শ্রীরামে, বাণ হানলেন অর্জুন
লোকসভা ভোটের পর দু-দফা যোগদান পর্ব সেরে ফেলেছেন মুকুল রায়। তৃণমূল ছাড়াও বাম-কংগ্রেস ভেঙে বিধায়ক-কাউন্সিলর ও নেতাদের বিজেপিতে যোগদান করিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় শ্রীরাম শুনে মেজাজ হারাতে পারেন, আমরা আল্লার নাম শুনলে রেগে যাই না। সদ্য প্রাক্তন হওয়া দলনেত্রীকে মোক্ষম বাণ ছাড়লেন বিজেপির টিকিটে সদ্য জয়ী সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি এদিন ফের জয় শ্রীরাম স্লোগানকে অন্যরূপ দিতে চাইলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ফাঁদে পা দিয়েছেন, সেই ফাঁদেই তাঁকে জড়াতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।
জয় শ্রীরাম স্লোগানে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
লোকসভার ভোটপর্ব চলাকালীনই জয় শ্রীরাম স্লোগান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। চন্দ্রকোনা যাওয়ার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। সেই জয় শ্রীরাম শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বাংলার রাজনীতিতে সাংঘাতিক রূপ নেয়।
'জয় শ্রীরাম' ইস্যুই হাতিয়ার
এমনকী সেখানেই শেষ নয়, নৈহাটিতে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময়ও রাস্তায় জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মেজাজ হারান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই 'জয় শ্রীরাম' ইস্যুকে অন্য মাত্রায় তুলে ধরার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
জয় শ্রীরাম লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড
বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এই মর্মে জয় শ্রীরাম লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকানায় পাঠানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রবিবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তাঁদের গ্রেফতারের, বলেন, কতজনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে, দেখতে চাই।
রাম নামে আতঙ্ক, আল্লা নামে নয়
অর্জুন সিং বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন রাম নামে আতঙ্ক দেখছেন, সেই কারণে জয় শ্রীরাম শুনেই তিনি মেজাজ হারাচ্ছেন। কিন্তু আমরা আল্লা নাম শুনে মেজাজ হারাই না। তিনি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, পুলিশ বাড়ি বাড়ি ঢুকে নির্যাতন চালাচ্ছে, আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।
[আরও পড়ুন: ফের ক্ষমতায় এসেই মোদী বিমসটেককে ডাকলেন; ভালো উদ্যোগ, কিন্তু স্রেফ প্রতীকী নয়তো?]
[আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আমলে কি মমতার সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত কি তীব্রতর হতে চলেছে?]