গরু পাচারে যুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র কোথায়, বিস্ফোরক 'ইঙ্গিত' অর্জুন সিং-এর
গরু পাচারে যুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র কোথায়, বিস্ফোরক 'ইঙ্গিত' অর্জুন সিং-এর
গরু পাচার (cow smuggling) কাণ্ডে যুক্ত যুব তৃণমূল (trinamool congress) নেতা বিনয় মিশ্রকে হাতে পেতে সিবিআই (cbi) আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। যা নিয়ে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি (bjp) সাংসদ অর্জুন সিং (arjun singh)।
বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
গত একমাসের বেশি সময় ধরে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রকে খুঁজছে সিবিআই। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, অবস্থা খারাপ বুঝেই সেপ্টেম্বরে তিনি নাকি দেশ ছেড়েছিলেন। গরু পাচার কাণ্ডে প্রভাবশালী যোগসূত্র খুঁজতেই বিনয় মিশ্রকে হাতে পেতে চায় সিবিআই। বিনয় মিশ্রের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সেই কারণে তিনতিনবার নোটিশ দেওয়ার পরে হাজির না দেওয়ায় এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
বিস্ফোরক অর্জুন সিং
এদিন বিনয় মিশ্রকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি দাবি করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রকে নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছেন। এদিন তিনি হাওড়ার জৈন হাসপাতালে গিয়েছিলেন বালিতে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীকে দেখতে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ বিনয় মিশ্রকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দিন দুয়ের আগে দাবি করেছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তিন পুলিশ কনস্টেবল বিনয় মিশ্রের নিরাপত্তার জন্য রয়েছেন। সেই পুলিশ কনস্টেবলদের নামও উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই খবর কি পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেনা না, প্রশ্ন করেছিলেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি পরিচয়
একইসঙ্গে অর্জুন সিং এদিন অভিযোগ করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি পরিচয় রয়েছে। একটি ভারতের এবং অপরটি থাইল্যান্ডের। টাকা লেনদেনের জন্য অসাদু চক্রের সাহায্য নিয়ে দুটি আইডেন্টিটি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ৩১ জানুয়ারি হাওড়া ডুমুরজলায় অমিত শাহ সভা করবেন। সেই সভার পরে হাওড়ায় তৃণমূল বলে আর কিছু থাকবে না।
নিশানা শুভেন্দু অধিকারীরও
দিন দুয়েক আগে তমলুকের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেন ম্যাডাম নারুলা কে। তাঁর আরও প্রশ্ন ছিল, লালার কয়লা চুরি, গরু পাচারের টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্কের একটি শাখার কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছিলেন, সেই অ্যাকাউন্টে একটা সময় মাসে মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে জমা করা হয়েছে। তমলুকের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, বজবজে জলের কারখানা, দুর্গাপুরে মেডিক্যাল কলেজ কার টাকায়।
রাজ্য পুলিশে পুরুষ বিভাগে কনস্টেবল পদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের