‘কেষ্ট’র কানে চড় কষিয়ে তালায় চাবি দেবেন লকেট! জবাবে ঠেলা সামলানোর বার্তা
লকেট বলেন, ‘মহিলারাই অনুব্রত মণ্ডলের কানের গোড়ায় চড় কষিয়ে তালা লাগিয়ে দেবেন এবার।’
এবার অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে দাঁড়িয়েই অনুব্রতকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাখঢাক না করেই তিনি বলে দিলেন, 'এবার কেষ্টর কানে তালা লাগিয়ে দিতে হবে। সেই তালার চাবি থাকবে আমাদের কাছে।' লকেট বলেন, 'মহিলারাই অনুব্রত মণ্ডলের কানের গোড়ায় চড় কষিয়ে তালা লাগিয়ে দেবেন এবার।'
[আরও পড়ুন:সবং-এ বিজেপির ভোট বৃদ্ধিতে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী, জেনে নিন]
লকেটের এই চড় কষানোর হুঙ্কার শুনে আর চুপ করে থাকতে পারলেন না অনুব্রত। তবে 'দিদি'র নিষেধের পর তিনি অনেক সংযত। তাই সংযত হয়েই বললেন, 'আমি চাইলে দু-তিন লক্ষ মহিলার সভা করতে পারি। তখন ঠেলা সামলাতে পারবেন তো আপনারা? তারপর তো আমাকে মারার প্রশ্ন!' শুধু লকেটকেই নয়, অনুব্রত বার্তা দেন মুকুল রায়কেও।
মুকুল রায় প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আপনি চ্যালেঞ্জ করছেন। আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। মনে রাখবেন, আপনাকে দেখে পার্টি করিনি। ৭৭ সাল থেকে পার্টি করছি। বীরভূমের মানুষের সঙ্গে থেকেছি। সেই জোর থেকেই বলছি, বীরভূমে এলে আপনাকে ৪০ হাজার লোক দিতাম। আপনি আগে সেই লোক করে দেখান। তারপর বড় বড় কথা বলবেন।'
উল্লেখ্য, মুকুল রায় বীরভূম সফরে গিয়ে কেষ্টকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দেন, 'অন্য কোনও জেলা না হোক বীরভূম জেলা পরিষদ তিনি এবার দখল করবেনই।' আগে অনুব্রত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী দিতে পারবে না বিজেপি। সেই প্রসঙ্গেই মুকুলের ওই বার্তা। মুকুল রায় জেলা সফরে আসার পর বীরভূমের দুই সাসপেন্ডের তৃণমূল নেতা-সহ বহু কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে। এ প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, 'মুকুল রায়ের ডাকে দল ছাড়ার থেকে মরে যাওয়া ভালো।'
এদিন মুকুল রায়ের পর লকেট অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণের ব্যাটন হাতে তুলে নেন। তিনি বলেন, 'এই জেলায় নারী নির্যাতন হচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসছে। সব ক্ষেত্রেই পুলিশ নিষ্ক্রিয়। অনুব্রত মণ্ডল তো খুব বড় বড় কথা বলেন। ওঁর জেলায় এমন ঘটনা কেন ঘটছে। এবার আর একটি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে মহিলারা অনুব্রতর কানের গোড়ায় সপাটে চড় মারবেন। আর সেই চড়ে কানে তালা লেগে যাবে। সেই তালার চাবি থাকবে আমাদের হাতে।'
এরপর দিলীপ ঘোষও অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করেন, 'দিদি এখানে হোলসেল দোকান চালাতেন। ভালো ম্যানেজার মুকুল রায় এখন আমাদের। আর কেষ্ট-বিষ্টুরা কিছু করতে পারবে না। এত দুর্নীতি করছে, এবার জেলে পাঠিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করব।' এ প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, 'আমি চুরি-ডাকাতি করিনি যে, জেলে যাব।'
[আরও পড়ুন:ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুতে কাঠগড়ায় অ্যাপোলো, এবারের অভিযোগ কী]