বাংলায় ‘খেলা হবে’! তৃণমূলের সরকার টিকবে তো, বিজেপির বড় পদক্ষেপের বার্তা বিধায়কের
বাংলায় খেলা হবে স্লোগান তুলে ২০২১-এ বিজেপি পর্যুদস্ত করে ছেড়েছে তৃণমূল। এখন তৃণমূলের সেই স্লোগান বিজেপির মুখে উঠে এল। বিজেপি বিধায়করা বলছেন ডিসেম্বরে বড় খেলা হবে। তারপর বাংলায় সরকার টিকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ।
বাংলায় খেলা হবে স্লোগান তুলে ২০২১-এ বিজেপি পর্যুদস্ত করে ছেড়েছে তৃণমূল। এখন তৃণমূলের সেই স্লোগান বিজেপির মুখে উঠে এল। বিজেপি বিধায়করা বলছেন ডিসেম্বরে বড় খেলা হবে। তারপর বাংলায় সরকার টিকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ। বিজেপির পদক্ষেপ নিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন দলের বিধায়ক-নেতারা।
বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিসেম্বরে বড় কিছু ঘটতে চলেছে বলে আভাস দেন। তারপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও এই আওয়াজ তুলতে শুরু করেন। সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, বিজেপির এমন একটি কৌশল রয়েছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারেষ।
বিজেপি বিধায়ক বলেন, তাঁর দল একটি বড় পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে, যা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পতন ঘটিয়ে দিতে পারে। দলের কৌশলকে তিনি বড় খেলা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অস্তিত্ব এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরে বাংলায় খেলা হবে। ৩০ জনেরও বেশি তৃণমূল বিধায়ক আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ফলে ডিসেম্বরের পরে সরকার থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, রাজ্য খুব শীঘ্রই আর্থিক জরুরি অবস্থার দিকে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের কৌশল প্রকাশ করব না, তবে কিছু ঘটবে। আমাদের নেতৃত্ব বারবার দাবি করছে যে, ডিসেম্বরে একটি বড় খেলা হবে। বাংলার সরকার আর্থিক জরুরি অবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এটি একটি দেউলিয়া সরকার। তাদের কাছে টাকা নেই। কীভাবে চালাবে রাজ্য?
তারপর অগ্নিমিত্রা বলেন, কারা রাজ্য চালাবে, রাজ্য পরিচালনা করবেন যাঁরা, তাঁদের ৫০ শতাংশই তো জেলে। বাকিরাও যাবে, তখন সরকার চালাবে কে? প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। তাঁর এই প্রশ্ন রাজ্য রাজনীতিতে বড় শঙ্কা হয়ে দেখা দেয় কি না, তা জানা যাবে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারও এই একই দাবি করেছিলেন। রাজ্য সভাপতি আবার এক ধাপ বাড়িয়ে বলেছিলেন তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। মিঠুন চক্রবর্তী জানান, ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আবার সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা শীঘ্রই গ্রেফতার হবেন। শুভে্ন্দু অধিকারী বলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এবং সিবিআই তাদের কাদ করে চলেছে। তৃণমূল সরকার ৬ মাস টিকবে না। ডিসেম্বরই সময়সীমা শেষ।