বাংলা ভাগের দাবিতে ফের সরব বিজেপি এক বিধায়ক! চিঠি লিখলেন জেপি নাড্ডাকেও
বিজেপির সাংসদ জন বার্লা একা নন, তাঁর সূত্র ধরে কিছুদিন আগে অনেকেই বাংলা ভাগের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছিলেন। তারপর কিছুদিন নীরব থাকার পর এবার আরও এক বিজেপির বিধায়ক দাবি তুললেন পৃথক রাজ্যের।
বিজেপির সাংসদ জন বার্লা একা নন, তাঁর সূত্র ধরে কিছুদিন আগে অনেকেই বাংলা ভাগের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছিলেন। তারপর কিছুদিন নীরব থাকার পর এবার আরও এক বিজেপির বিধায়ক দাবি তুললেন পৃথক রাজ্যের। তিনি আবার শুধু পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরবই হলেন না, একেবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে বসলেন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় জন বার্লা প্রথম দাবি তোলেন উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক রাজ্য করতে হবে। এটাই উত্তরবঙ্গ মানুষের দাবি বলে তিনি উত্থাপন করেন। তারপর তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত তৈরি হয়। এবার কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা পৃথক রাজ্যের দাবি তোলেন।
গোর্খাদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়ে তিনি চিঠি লেখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। জন বার্লার পর পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে এবার কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা লেখেন- পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের মনোভাব ও আবেগ নিয়েই এই চিঠি লিখছি।
তিনি চিঠিতে লেখেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ বারবার বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। তাই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন যখন থমকে রয়েছে, তখন তাঁদের পক্ষে পৃথক রাজ্যের দাবি ন্যায্য। উত্তরবঙ্গের মানুষের সেই দাবি তোলার অধিকার রয়েছে। জন প্রতিনিথি হিসেবে সেই দাবি উত্থাপন করা আমার কর্তব্য। তাই মানুষের দাবি তুলে ধরেছি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। কেন্দ্রী নেতৃত্ব এবার সিদ্ধান্ত নিক।
বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এর আগে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে দল জানিয়েছিলেন বিজেপি বাংলা ভাগ চায় না। দলের অবস্থান জানার পরও বিজেপির বিধায়ক বাংলা ভাগের দাবিতে সরব হলেন, চিঠি লিখলেন। তবে তাঁর আগে বিজেপির অনেকেই পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন।
বিজেপির
নেতারা
বঙ্গভঙ্গের
সমর্থনে
ব্যক্তিগত
মত
পোষণ
করলেও
তৃণমূল
সরকারের
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
খারিজ
করে
দেন
বিজেপির
দাবি।
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
সাফ
জানান,
দক্ষিণবঙ্গও
পশ্চিমবঙ্গের
মধ্যে,
উত্তরবঙ্গও
পশ্চিমবঙ্গের
মধ্যে।
কোনওরকম
ভাগাভাগি
আমি
বরদাস্ত
করব
না।
বিজেপি
যদি
মনে
করে
জলপাইগুড়ি,
আলিপুরদুয়ার,
কোচবিহার
বিক্রি
করে
দেবে,
আমি
বলি
অত
সস্তার
নয়।
আমি
বাংলাকে
পরাধীন
করতে
দেব
না।
এদিকে
শুধু
বিজেপি
সাংসদ
বা
বিধায়করাই
নন,
পৃথক
রাজ্যের
দাবিকে
প্রকাশ্যে
সমর্থন
জানান
তৃণমূলের
এসসি-এসটি
সেলের
সাধারণ
সম্পাদক
রাজেশ
লাকড়া
ওরফে
টাইগার।
তিনি
গ্রেটার
কোচবিহারের
আন্দোলনের
নেতা
বংশীবদন
বর্মনের
পৃথক
রাজ্যের
দাবিকে
সমর্থন
করেন।
তাঁরা
মুখ্যমন্ত্রীর
সঙ্গে
দেখাও
করেছিলেন।