বামেদের ‘ইনসাফ’ আন্দোলনকে সমর্থন বিজেপি বিধায়কের, তৃণমূল-উৎখাতে এক বাম-ডান
বামেদের ‘ইনসাফ’ আন্দোলনকে সমর্থন বিজেপি বিধায়কের, তৃণমূল-উৎখাতে এক বাম-ডান
শুভেন্দু অধিকারীর পর আরও এক বিধায়ক বাম সমর্থনে গলা ফাটালেন। শুভেন্দু অধিকারী বামেদের সমর্থন চেয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন, আর বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ প্রকাশ্যে বামেদের সমর্থন করে বসলেন। আনিস খানের মৃত্যতে বামেদের পথে নামা ও আন্দোলনকে ন্যায্য বলে দাবি করলেন। একইসঙ্গে তিনিও তৃণমূলের উৎখাত দাবি করলেন।
ডান হোক বা বাম- সবাই মিলে তৃণমূলকে উৎখাত
বিজেপির চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এদিন বলেন, আমরা চাই ডান হোক বা বাম- সবাই মিলে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আল্টিমেট বামেরা তো তৃণমূলের বিরুদ্ধেই আন্দোলন করছে। আনিস খানের মৃত্যুতে ইনসাফের দাবিতে তাঁরা রাজপথে নেমেছে। তাঁদের আন্দোলন করার ন্যায্য অধিকার রয়েছে।
বিজেপির নৈতিক সমর্থন বামেদের ইনসাফ সভায়
বিজেপি বিধায়কের কথায়, যে কোনও রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে। বামেরা তৃণমূল কংগ্রেসর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আমাদেরও লড়াই মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু কমন ইস্যুও তৈরি হয়েছে, যেখানে বামেরা এবং আমরা তৃণমূলের বিরোধিতায় সরব হচ্ছি। ফলে এই ইস্যুতেও আমাদের নৈতিক সমর্থন রয়েছে।
স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক মতপ্রকাশে তৃণমূলের উৎখাত দরকার
তিনি বলেন, আমরা নৈতিকভাবে বামেদের সঙ্গে যেতে পারি না। কিন্তু ইস্যুভিত্তিক সমর্থন দিতেই পারি। আর সবথেকে বড় কথা, আমরা উভয়েই তৃণমূল সররকারকে উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর। কেননা তৃণমূলের আমলে রাজ্যে অনৈতিকতায় ভরে গিয়েছে। তাই তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করা না হলে স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক অধিকারের লড়াই করতে পারবে না কেউ।
শুভেন্দু বামেদের ডেকেছিলেন বিজেপির নবান্ন অভিযানে
এর আগে শুভেন্দু অধিকারী বামেদের সমর্থন চেয়েচিলেন। নবান্ন অভিযানের আগে তিনি বামেদের উদ্দেশ্যে যৌথভাবে অভিযানে নামের ডাক দেন। তারপরই রাজ্য রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠে পড়ে, কেন হঠাৎ বামেদের ডাকতে হচ্ছে বিজেপির নবান্ন অভিযানে? তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে চোর ধরো জেল ভরো কর্মসূচিতে বিজেপি দেয় নবান্ন অভিযানের ডাক। আর সিপিএম বা বামেরা ডাক দেয় সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের। তারপরই শুভেন্দু বলেন, বামেরাও শামিল হন বিজেপির নবান্ন অভিযানে।
শুভেন্দু অধিকারীর বার্তায় রাজনৈতিক মহলকে ভাবিত
শুভেন্দু বলেছিলেন, বামেরা যদি সত্যি সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উৎখাত চান, তবে তাদেরও বিজেপির নবান্ন অভিযানে শামিল হওয়া উচিত। শুভেন্দু অধিকারীর সেই বার্তা রাজনৈতিক মহলকে ভাবিয়ে তুলেছিলেন এবার শুভেন্দু অধিকারীর মতোই বামেদের কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে সেই চর্চা আরও বাড়িয়ে দিলেন চাকদহের বিজেপি বিধায়ক।
বামেরা রামে গিয়েছিল, এখন রামেরা বামে ফিরছে, কটাক্ষ
এদিন সিপিএম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে ইনসাফ সভা সফল। বহুদিন পর লাল-ঝড় দেখা গেল নবান্নে। এর আগে বামেদেরও 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগানকে সামনে রেখে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানও সফল ছিল। তবে বিজেপির নবান্ন অভিযানে বামেদের শামিল হওয়ার ডাক, তারপর বামেদের ইনসাফ সভাকে বিজেপির সমর্থন করাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এসবই প্রমাণ বামেরা রাম হয়েছিল, এখন আবার সেই রামেরা বামে ফিরে আসছেন।
জামিন খারিজ হয়ে সিবিআই হেফাজতে সুবীরেশ! পার্থের মুখোমুখি বসানো নিয়ে জল্পনা