দিলীপ-মুকুলদের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীই, এখন উত্তর খুঁজছেন তাঁরা
অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়ার পরই হইহই শুরু হয়েছিল। বঙ্গ বিজেপি আওয়াজ তুলেছিল বাংলাতেও এনআরসি করার। তাঁদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার।
অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়ার পরই হইহই শুরু হয়েছিল। বঙ্গ বিজেপি আওয়াজ তুলেছিল বাংলাতেও এনআরসি করার। তাঁদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন তাঁদের এই মুহূর্তে এনআরসি নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তই জল ঢেলে দিল বঙ্গ বিজেপির পরিকল্পনায়। এতদিন বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসি নিয়ে রাজ্যজুড়ে হুজুগ তৈরি করেছিল। অনুপ্রবেশকারীদেরে বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিতেই বিজেপি প্রচার শুরু করেছিল। সেই প্রচারে জল ঢেলে বিজেপির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির জানিয়ে দিলেন, আপাতত অসমের বাইরে কোথাও এনআরসি নয়।
[আরও পড়ুন:৯ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন বার্তাবাহী ২০১৯-এর, একনজরে ফিরে দেখা ২০১৮]
এদিন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক প্রশ্নের জবাবে আহির লিখিতভাবে জানান, অসম ছাড়া কোনও রাজ্যে এনআরসি প্রয়োগের কোনও ভাবনা নেই কেন্দ্রের। এদিন ছিল উদ্বাস্তু দিবস। গোটা বিশ্বে উদ্বাস্তুদের অধিকার সুরক্ষিত করতে এই দিনটি পালিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন টুইট করে সবাইকে আশ্রয়ের বার্তা দেন।
[আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছে এই খবরগুলি]
তারপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও এনআরসি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিল সংসদে। উল্লেখ্য, এবার অসমের এনআরসিতে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এরপরই বিরোধীরা অভিযোগ কর, মুসলিমদের দেশছাড়া করতেই বিজেপির সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি যোগ্য নাগরিক প্রমাণেই এই উদ্যোগ। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আমরা দাবি জানাব। রাজ্যে সরকারের দাবি করলে, কেন্দ্র অনুমোদন দেবে।
[আরও পডুন: কর্ম সংস্থান শিকেয় তুলল বিজেপি শাসিত সরকার! ফতোয়া জারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও]