বাংলা-ঝাড়খণ্ড ‘যুদ্ধে’ অশালীন বিজেপি মন্ত্রী, চোখ খুবলে নেওয়ার বার্তায় উঠল ঝড়
ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ বিতর্কে শালীনতার সীমা ছাড়ালেন বিজেপির মন্ত্রী। ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের রঙ নীল-সাদা করা নিয়ে যে বিতর্কের শুরু হয়েছিল, তা অচিরেই রুপ নেয় রাজনৈতিক কাদা ছেটানোর জায়গায়।
ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ বিতর্কে শালীনতার সীমা ছাড়ালেন বিজেপির মন্ত্রী। ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের রঙ নীল-সাদা করা নিয়ে যে বিতর্কের শুরু হয়েছিল, তা অচিরেই রুপ নেয় রাজনৈতিক কাদা ছেটানোর জায়গায়। প্রাদেশিক যুদ্ধে নেমে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে সুর চড়াল ঝাড়খণ্ড-বিজেপির এক মন্ত্রী।
ঝাড়খণ্ডের সমাজ-কল্যাণমন্ত্রী লুইস মারান্ডি সরাসরি বাংলার দিকে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, এদিকে তাকালে চোখ খুবলে নেব। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর সমালোচনা শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয়। সেই প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের সেচমন্ত্রী সোমনাথ মহাপাত্র বলেন, বিজেপির কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আশা করা উচিতও নয়।
কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছিল ম্যাসাঞ্জোর বাঁধের রঙ করার কাজ। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ এই বাঁধের দেখভাল করে নীল-সাদা রঙ করা হচ্ছিল। করছিলও পশ্চিমবঙ্গ সরকারই। ঝাড়খণ্ড সরকার নীল-সাদা রঙ নিয়ে আপত্তি জানায়। তাদের দাবি ছিল এই বাঁধ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব সম্পত্তি নয়। তাই নীল-সাদা রঙ করা যাবে না। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ।
বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমানায় ময়ুরাক্ষী নদীর উপরে এই বাঁধের উপর বিশ্ববাংলায় লোগো লাগানো হয়েছিল। তাও ঢেকে দেওয়া হয়। তারপর এই বাঁধে ঝাড়খণ্ডের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। এদিন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী বাংলার দিকে আঙুল তুলে তোপ দাগেন। হুঙ্কার ছাড়েন, এইদিকে যেন না তাকায় বাংলা। যে এদিকে তাকাবে, তার চোখ খুবলে নেব।
ঝাড়খণ্ড সরকারের দাবি, এই ড্যাম কোনও রাজ্য সরকারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এর উপর ঝাড়খণ্ডেরও সমান অধিকার আছে। কাজেই এই বাঁধের যেকোনও ধরনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ঝাড়খণ্ড সরকারের মতামতও লাগবে। তাই, ম্যাসাঞ্জোর ড্যামকে যেভাবে নীল-সাদা রঙে সাজানো হচ্ছে তা ঠিক নয়।