শোভনকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙার মাস্টারপ্ল্যান বিজেপির! মমতার ‘মুক্তাঞ্চল’-এ এবার হানা
শুভেন্দু অধিকারীকে দলে এনে অখণ্ড মেদিনীপুরে প্রভাব বিস্তার করার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি শিবির। এবার বিজেপির লক্ষ্য শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় করা। প্রথমত সাড়ে ১৬ মাস কেটে গিয়েছে দলে এসেও নিষ্ক্রিয় শোভন, দ্বিতীয় ভোট এগিয়ে আসছে, তাঁকে দিয়ে তৃণমূলকে ভাঙার কাজটা সেরে নিতে হবে।

শোভনকে বিজেপিতে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা
বিজেপি সার ভেবেছে, তৃণমূলকে ভেঙেই বাড়তে হবে এবং তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতেই তারা বেশি পছন্দ করছে। তাই এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। শোভনকে পদ দেওয়া হয়েছে, তাঁর দাবি মতো বৈশাখীকেও পদ দিয়েছে বিজেপি। এবার তাহলে বাধা কেন? প্রশ্ন উঠেছে আবারও।

বিজেপি একান্তভাবেই শোভনকে চাইছে তৃণমূলকে ভাঙতে
বিজেপির মিছিলে শোভন অংশ না নেওয়ার পর নেতারা বারবার তাঁর বাড়িতে ছুটেছেন। রাতভর বৈঠক করে তাঁকে ফের ময়দানে নামানোর ব্যাপারে রাজি করিয়েছে। আসলে বিজেপি একান্তভাবেই শোভনকে চাইছে। তা না হলে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বড় কোনও মুখ নেই। আর শোভন এলে তাঁর অনুগামী অনেকেই আসবেন বিজেপিতে।

নড়বড়ে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার অভাব মেটাতে
পূর্ব মেদিনীপুরে নড়বড়ে ছিল বিজেপি, সেখানে শুভেন্দুকে আনা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় মুকুল রায় থেকে শুরু করে অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্তরা রয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা আর কলকাতায় কেউ ছিল না বড় নাম। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আনলে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার অভাব খানিকটা মিটবে।

শোভনকে দিয়ে ফায়দা তোলা যাবে তৃণমূলকে ভেঙে
শোভন কলকাতার মেয়র ছিলেন। ছিলেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতররে মন্ত্রী। তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন তিনি। ফলে তাঁর গুরুত্ব বিজেপি দেবে, তা তো বলাই বাহুল্য। এখন তাঁকে সক্রিয় করে ময়দানে নামানোই দস্তুর। তারপর তাঁকে দিয়ে ফায়দা তোলা যাবে তৃণমূলকে ভেঙে।

তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে গোপন বৈঠকে শোভন
শোভন তিন-চারজন প্রাক্তন কাউন্সিলরকে নিয়ে বিজেপির মিছিলে যোগ দেবেন, এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু সেখানে শোভন বা বৈশাখী কেউ যাননি। তবে বিজেপি নেতাদের বারবার কড়া নাড়ার পর মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ক-সহ কতিপয় নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন তিনি। যে বিধায়ক ক'দিন আগেই বেসুরো বাজছিলেন, তিনিই হাজির ছিলেন শোভনের বাড়িতে।

দুর্বল জায়গায় ঘাঁটি গাড়ার পরিকল্পনা বিজেপির
বিজেপির লক্ষ্য, শোভনকে দিয়ে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের জালে পোরা। অভিষেকের গড়ে এভাবে যদি হানা দেওয়া যায়, তবে সব দিক থেকেই মঙ্গল। সবথেকে দুর্বল যে জায়গা ছিল বিজেপির, সেখানেও ঘাঁটি গাড়া যাবে। আর অভিষেকের জনসভায় চারজন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আবার অনেকের নামে পোস্টারও পড়েছিল। ফলে জল্পনা বেড়েই চলেছে একুশের আগে।

করোনা বেলায় বড় চমক, চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে থাকবেন শাহরুখ খান, টুইটে জানালেন মমতা