মোদীকে চিঠির পর রাজ্যপালের কাছে ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে দরবার বিজেপির, সংঘাতে ইন্ধন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি দেওয়ার পর এবার রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দিল ডেউচা-পাঁচামির জনজাতিদের প্রতিনিধি দল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি দেওয়ার পর এবার রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দিল ডেউচা-পাঁচামির জনজাতিদের প্রতিনিধি দল। বিজেপির নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে ডেপুটেশন নিয়ে রাজ্যপাল আশ্বাস দেন তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ডেউচা যাবেন। এর ফলে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে সরব শঙ্কুদেব পাণ্ডা। তিনি ডেউচা-পাঁচামিক প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজভভনে যান। বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামির প্রতিনিধিরা ছাড়াও অন্য জেলার এই জনজাতির প্রতিনিধিরাও ছিলেন দলে।
রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানানো হয়, এ রাজ্যে যখন জনজাতি প্রধান এলাকায় খনি বা অন্য কোনও প্রকল্প তৈরি হয়, তখন জনজাতি সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু সরকরা এই জনজাতির স্বার্থ সুরক্ষা করেনি। তাঁদের দাবি, জনজাতিরা যখন ক্ষতির শিকার হচ্ছে, তখন তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষা করা হোক। সেই দাবিই তাঁরা পেশ করেন রাজ্যপালকে।
এর আগেই রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। পুজোর আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লা ব্লকের উদ্বোধনে মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। সব্পন দাশগুপ্ত চিঠি লিখেছিলেন তড়িঘড়ি উদ্বোধনের চেষ্টা হলে, যেন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ না দেন।
এবার বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। জনজাতি প্রতিনিধিদের নিয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপালের দরবারে। শঙ্কুদেব বলেন, রাজ্যপাল সব সমস্যার কথা শুনেছেন। রাজ্যপাল ডেউচা-পাঁচামিতে আমন্ত্রণ পেলে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
ফারুকের বাবাকে কংগ্রেস ১১ বছর বন্দি করে রেখেছিল, পাল্টা আক্রমণ অমিতের