আমজনতাকে শুধু নয়, বিজেপি নেতাদেরই এখন তাড়া করছে এনআরসি আতঙ্ক, চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল উপনির্বাচন
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই উপনির্বাচন। এনআরসি যে বুমেরং হয়েছে তা এখন মেনে নিচ্ছেন বিজেপি নেতারাও। অসমে এনআরসির পর থেকেই বিজেপির একটা অংশ বেসুরো গাইছিল।
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন। এনআরসি যে বুমেরাং হয়েছে তা এখন মেনে নিচ্ছেন বিজেপি নেতারাও। অসমে এনআরসির পর থেকেই বিজেপির একটা অংশ বেসুরো গাইছিল। এই অংশের নেতারা চাইছিলেন না এনআরসি। কেননা এই এনআরসি যে বিজেপিকে মস্ত ধাক্কা দেবে তা আশঙ্কা করেছিলেন তাঁরা।
মুখ থুবড়ে পড়ার পর বিজেপি নেতাদের উপলব্ধি
এবার বাংলায় উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর বিজেপি নেতাদের উপলব্ধি এবার এনআরসিই তাঁদের নাকাল করে ছাড়ল। এক শ্রেণির মানুষ বিজেপির উপর তিতিবিরক্ত। মানুষ বুঝতেই পারে্নি অনুপ্রবেশকারী আর শরণার্থীর পার্থক্য। বরং পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বিজেপি এনআরসি করে শুধু মুসলিমদেরই টার্গেট করছে।
এনআরসি ভীতিই ভিড় করেছে বাঙালি মনে
আর তার উপর আরও এক অস্বস্তি অসমে এনআরসিতে বাদ পড়াদের তালিকায় ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম। তাহলে শুধু মুসলিমরাই নন, হিন্দুরাও সাফার করেছে। তাঁদের পরিবার ছেড়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকতে হচ্ছে। এই ভীতিই ভিড় করেছে বাঙালি মনে। তৃণমূল সেই ছবিই তুলে ধরেছে এবার প্রচারে।
আশঙ্কার কথা বুঝতে পেরেও এনআরসিকে ইস্যু
বিজেপি যে এই আশঙ্কার কথা বুঝতে পারেনি তা নয়। সেই কারণেই অমিত শাহ কলকাতায় এসে বলে গিয়েছিলেন এখনই এনআরসি নিয়ে প্রচার নয়। এখন পাখির চোখ করতে হবে নাগরিকত্ব বিলকে। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রচার করতে হবে। নাগরিকত্ব বিল হয়ে যাওয়ার পর এনআরসি প্রচারের ঝড় তুলতে হবে। কিন্তু বিজেপি আঙরিক অর্থেই এই এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিলকে নিয়ে ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে।
গোটা দেশেই এনআরসি, বাংলাও বাদ যাবে না
অমিত শাহের বারণের পরও বিজেপি ইস্যু করেছে এনআরসিকে। বাংলাতেও এনআরসি হবে সংসদে দাঁড়িয়েও বলেছেন শাহ। বলেছেন, গোটা দেশেই এনআরসি হবে, বাংলাও বাদ যাবে না। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির এই কথার উপর ভিত্তি করেই বঙ্গ বিজেপির নেতারা উপনির্বাচনে এনআরসিকে মূল ইস্যু করেছে।
বিজেপি প্রার্থীর স্বীকারোক্তি, দায়ী এনআরসি
কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার তো হারের জন্য দায়ী করেছেন এনআরসিকেই। তিনি তিনি বলেন, আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি। মানুষ বুঝেছে এনআরসি কেন্দ্র করেছে, তাই ভোটটা বিপক্ষে গিয়েছে বিজেপির। সেই কারণে ৫৭ হাজার ভোটে এগিয়ে থেকেও ব্যবধান মুছে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।
এনআরসির ভয়ঙ্করতাই মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করেছে
বিজেপি বোঝাতে পারেনি মানুষকে। এনআরসির ভয়ঙ্করতাই মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস এনআরসির ভয়াবহতা প্রচার করেই কিস্তিমাত করে দিয়েছে উপনির্বাচনে। এখন বিজেপি নেতারাও এনআরসি আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে।
মমতার কামব্যাক বিজেপির 'ভুলে’র সদ্ব্যবহারে! তিনে তিন করে ধন্যবাদ অমিত শাহকে