তৃণমূলের জোটসঙ্গীর সমর্থনে গোয়ায় সরকার! তীব্র মতবিরোধ বিজেপির অন্দরে
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে বিজেপিই। ম্যাজিগ ফিগারের থেকে মাত্র একটি আসন কম পেয়েছে তারা। তারপর অবশ্য সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের জোট সঙ্গীও। হোলির পরে নতুন নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে গোয়ায়।
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে বিজেপিই। ম্যাজিগ ফিগারের থেকে মাত্র একটি আসন কম পেয়েছে তারা। তারপর অবশ্য সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের জোট সঙ্গীও। হোলির পরে নতুন নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে গোয়ায়। কিন্তু তার আগে গোয়ায় বিজেপিক অন্দরে শুরু হয়েছে তীব্র মতবিরোধ।
সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রমোদ সাওয়ান্ত মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গদে দেখা করতে নয়াদিল্লিতে গিয়েছেন। গোয়ায় নির্বাচিত সদস্যরা এদিনই শপথ নিয়েছেন। শীঘ্রই গোয়ায় বিজেপি সরকার গঠন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষকরা আসবেন। সেই বিষয়েই দিল্লিতে নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন সাওয়ান্ত।
গোয়ায় বিজেপি বৃহত্তম দল হয়েছে। ভোটের আগে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়নি। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত হারতে হারতে কোনওরকমে জিতেছেন। এখন তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হন নাকি এই পদে তাঁর কোনও চ্যালেঞ্জার রয়েছে, তা-ই দেখার। জল্পনা চলছে গোয়া বিজেপির সিনিয়র নেতা বিশ্বজিৎ রানেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের লাইনে রয়েছেন। রানে অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, "আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্খা নেই। দলের নেতৃত্ব ঠিক করবে কো মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কারও সঙ্গে আমরা কোনও মতপার্থক্যও নেই।" তবে নবনির্বাচিত বিধায়ক এবং বিশ্বজিৎ রানের স্ত্রী দেবিয়া রানে বলেছেন, প্রতিটি নেতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই নির্ধারণ করবে। বিজেপির মধ্যে কোনও শিবির নেই এবং কোনও মতপার্থক্যের প্রশ্ন নেই।"
বিতর্কিত বিজেপি নেতা বাবুশ মনসেরেট বলেছেন, মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টি বা এমজিপি বিজেপিকে সমর্থন ঘোষণা করেছে। তাদের বিজেপির সঙ্গে জুড়ে যাওয়া উচিত। এমজিপি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রাক-নির্বাচন জোট করেছিল এবং বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী লড়াই করেছিল। তাদেরকে বিজেপি সঙ্গী করায় অনেকে ক্ষুব্ধ।
বিজেপির একাংশ দাবি তুলেছে, যারা প্রথমে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করেছে, তারপর আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের কেন গুরুত্ব দিতে হবে বা শরিক করতে হবে সরকারের। আমদের সঙ্গে সংখ্যা এবং সমর্থন দুই-ই আছে। তাহলে দলকে শক্তিশালী করার জন্য এমজিপিকে শুধু বিজেপির সঙ্গে নিতে হবে কেন?
এমজিপি নেতা সুদিন ধবলিকার বলেছেন, তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পীড়াপীড়িতে বিজেপিকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আমি বেশি মন্তব্য করব না। তবে বলতে পারি, আমি এখানে বিজেপি নেতৃত্বের জোরাজুরিতে এসেছি এবং দলকে শক্তিশালী করতে এখানে এসেছি। আমাদের এখন দলকে শক্তিশালী করতে হবে।
সম্প্রতি ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় বিজেপি ২০টি আসনে জিতেছে। এমজিপি দু'জন বিধায়ক পেয়েছে এবং তিনজন নির্দল বিজেপিকে তাদের সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। ফলে ২৫ সদস্যকে নিয়ে সরকার গঠনের পথে এগিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার গোয়া বিধানসভার ৪০ জন নব-নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে ৩৯ জন রাজ্যপাল পি এস শ্রীধরন পিল্লাই কর্তৃক অধিবেশন চলাকালীন শপথ নেন।